পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতিকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। গত কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়া সহ মানুষের হাতে হাতে এসব পদ বাণিজ্যের আর্থিক লেন-দেনের ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পৌছে গেছে। ফলে স্বেচ্ছাসেবকলীগের পাবনা জেলার সাংগাঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। একাধিক অভিযোগে ও মোবাইলে কথোপকথনে তথ্যে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাদ্য বিলুপ্ত হওয়া আহবায়ক কমিটির এসএম আব্দুল মান্নান মাষ্টার সভাপতির পদ পেতে জেলা সভাপতি ডাবলুকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাটমোহর উপজেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়। এদিকে ছাইকোলা ইউনিয়নের বিদ্যুত নামে একজনের কাছ থেকে সভাপতি পদ দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ও রাজু আহমেদ এর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা গ্রহন করেন আহমেদ শরিফ ডাবলু। এসব টাকা লেন-দেনের অডিও-ভিডিও ক্লিপ এসেছে আমাদের প্রতিনিধির কাছে। আরো জানা যায়, আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগে পাবনা জেলা স্চ্ছোসেবকলীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি শোকজ করেছে। অভিযোগের সতত্য জানতে আহমেদ শরিফ ডাবলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টাকা নিয়েছি এটা সত্য, তবে টাকাগুলো হাওলাত নিয়েছি, আমার নামে থাকা অগ্রনী ব্যাংকের ঋন পরিশোধের জন্য। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্র আমার কাছে কৈফিয়ত চাইলে আমি লিখিত জবাব কেন্দ্রের কাছে দিয়ে এসেছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমি মেনে নিবো। এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গাজি মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, সেটা আমার খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে সাংাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আরো জানা যায়, এসএম আব্দুল মান্নান মাষ্টারসহ আরো কয়েকজন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ প্রদান করেছেন। আব্দুল মান্নান মাষ্টার চাটমোহর উপজেলার পৌর দোলন গ্রামের মৃত তজিম উদ্দিন সরকারের ছেলে। নেতা-কর্মীরা দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুর বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নিতে ও চাটমোহর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহবান জানান।