শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

বেগম খালেদা জিয়া বন্দী কেন

শিমুল বিশ্বাস:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

এক.
যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের যুদ্ধ। দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ। বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী মেজর জিয়া ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে মুক্তি সংগ্রাম শুরু করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব কারাবরণ ও আত্মগোপন করায় অসীম সাহসে মেজর জিয়া দিগ্ভ্রান্ত জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণা দেন। শুধু কি ঘোষণা? রণাঙ্গনে যুদ্ধের পরিকল্পনা, যুদ্ধের ট্রেনিং, অপারেশন- এক কথায় একটি অসম যুদ্ধকে জয়ী করতে যা যা করা দরকার তার সব কিছুই করেন মেজর জিয়া। অন্য দিকে সেই কঠিন সময়েও দেশ ছেড়ে পালাননি এই গৃহবধূ বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কি পারতেন না অন্য সবার মতো করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে? পার্শ¦বর্তী কোনো দেশে! বুঝলাম সময় পাননি। সময় লাগবে কেন? সাধারণের মতো করেও তো তিনি সন্তান দুটোকে নিয়ে নিজের মতো করে নিরাপদে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু যাননি এবং পালাননি। নিজের নিরাপত্তার খোঁজও করেননি। এটিকে আপনারা কী বলবেন?
দেশী-বিদেশী চক্রান্তে জনপ্রিয় স্টেটসম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করার পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। ৯ বছরের এক সামরিক স্বৈরাচার চেপে বসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়। অন্য দিকে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে জনতার সংগ্রামও শুরু হয়; যা একেবারে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে গিয়ে শেষ হয়। তখন বিএনপিকে ধরা হতো এক রকম এলিটদের সংগঠন। গ্রামগঞ্জে সেভাবে সংগঠিত হয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি তখনো। এই শূন্যতাটা অনুভব করলেন বিধবা এক গৃহবধূ। সারা দেশ চষে বেড়িয়ে ছাত্রদল থেকে বিএনপি, পুরো সংগঠনটাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করালেন তিনি। এমনভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি, স্বৈরাচারের তখতে-তাউস তছনছ করে ছাড়লেন। সাথের অনেকেই লোভ-লালসায় পড়ে পক্ষ ত্যাগ করল, স্বৈরাচারের দোসরে পরিণত হলো। অথচ কোনো লোভ-লালসাই এই গৃহবধূটিকে তার কর্তব্য থেকে এতটুকু টলাতে পারল না। দেশের মানুষের মুক্তির কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের জনগণ ভালোবেসে তাকে আপসহীন দেশনেত্রী নামে ডাকে।
দুই.
অল্প দিনেই এ দেশের মানুষ ম্যাডামকে চিনে ফেললেন। স্বৈরাচারের পতনের পর অবাধ ও নিরপেক্ষ এক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তার হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দিলেন। শুরু হলো সদ্য ভূমিষ্ঠ গণতন্ত্রকে এগিয় নেয়ার সফল যাত্রা। সাধারণ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মানুষের মধ্য থেকে নেতৃত্ব উঠে এলো। তারা দেশের নীতিনির্ধারক হয়ে গেল। খেয়াল করুন, এর আগে কিন্তু দেশ চালিয়েছে- হয় মিলিটারি, না হয় এলিট একটি শ্রেণী। সেই জায়গার দখল এখন সাধারণ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের হাতে, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের নীতিনির্ধারক। তার মানে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে দফতর, অধিদফতর চলছে জনতার কথায় আর তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যথারীতি ম্যাডাম খালেদা জিয়া। জনগণের রাষ্ট্রের মালিকানা পেল জনগণ।
১৯৯৬ সাল। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায়; কিন্তু বিরোধীরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চায়। সংসদে বিল পাস করতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। এক মাসের মধ্যে একটা নতুন নির্বাচন হলো, সেই সংসদে তত্ত্বাবধায়কের বিল পাস করে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবার ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। আজকের মতো করে তিনি ভাবেননি, দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ে আবার এসেছি, বছর পাঁচেক থেকেই যাই। ইচ্ছা করলে অসম্ভব ছিল না, তিনি এমন ইচ্ছাই করেননি, করতে পারেননি। ভেবে দেখুন, কয়েক দিন আগে যিনি দেশ চালালেন, তিনি আবার ক্ষমতায় আসার চোরাগলি না খুঁজে, সবার সাথে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিরোধী দলের দাবি মেনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে, নির্ধারিত তারিখে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। এটা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে। তিনি গণমানুষের কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়েই রাজনীতি করেন। মানুষের জন্যই তাঁর জীবন, রাজনীতি ও পথচলা।
তিন.
ওয়ান ইলেভেনের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল বারী ছিলেন ডিজিএফআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক। সেই সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান, জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলা দায়েরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন এই ফজলুল বারী। কয়েক দিন আগে এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে দেখলাম সে সময়ের মামলাগুলো তৈরির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করছিলেন তিনি। বিবেকের তাড়নায় বলেই ফেললেন, নিয়মতান্ত্রিক অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার নামে কয়েকটি মামলা হয়ে গেল; কিন্তু ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নামে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেল না। মামলার অগ্রগতি মূল্যায়নে সিদ্ধান্ত হলো, এক নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হলে সরকার বেকায়দায় পড়বে, নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, উভয়েরই দুর্নীতি খুঁজে বের করা দরকার, উভয়ের নামেই মামলা হওয়া দরকার। উপস্থিত সরকারের উপদেষ্টাম-লীরও একই মত। তারপর গোঁজামিল দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নামে মামলা তৈরি করা হলো। প্রথম মামলাটি হলো জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির ওপর, যার অজুহাতে তিনি এখন জেলে। খেয়াল করুন, যার হাতে মামলাটি তৈরি, তিনি স্বীকার করছেন, এটি একটি বানোয়াট মামলা। ব্রিগেডিয়ার বারী আরো বলছেন, ম্যাডাম জিয়া সে দিন বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে, শেখ হাসিনাও আর দেশে ফিরে আসতেন না। চিকিৎসার নাম করে বিদেশে যাওয়ার আগে এরকমই কথা হয়েছিল শেখ হাসিনার সাথে। ম্যাডাম জিয়া গেলেন না, এই সাহসে, রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও ওই নেত্রী তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে এলেন। হিসাব করে দেখলাম, এক হাজার ৯ শ’ ঊনষাট দিন, এক হাজার ৯ শ’ ঊনষাট রাত যাবৎ চার দেয়ালের মধ্যে আটকে আছেন বয়োবৃদ্ধ মহীয়সী এ নারী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এক নেত্রী ভেতরে, আরেকজন বাইরে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে নিছক এই কারণে বানানো একটি মিথ্যা মামলায়। কিভাবে? দেশের আইন-আদালতে যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা জামিনের রেওয়াজ ভেঙে, বিচারের নামে তামাশা করে।
চার.
এ পর্বের লেখাটি শেষ করব একটা ঘটনা দিয়ে। স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত মইনুল রোডের বাসা থেকে জোর করে বের করে দেয়ার পর খালেদা জিয়া ভাড়াবাসা ফিরোজায় এসে উঠলেন। দুইতলার দক্ষিণ বারান্দা সেখানে প্রায়ই চুপচাপ বসে থাকতেন তিনি। মনে হতো স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ছেড়ে, সন্তানসন্ততি থেকে দূরে, এ জন্য মন খারাপ হয়তো। একদিন বিকেলে, বাসাভাড়া সংক্রান্ত একটা কাজের ফাঁকে বললাম ম্যাডাম, আপনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, অথচ আপনার একটা নিজস্ব বাড়ি নেই। ভেবেছিলাম ছেড়ে আসা বাড়ির স্মৃতিচারণ করবেন তিনি। অথবা আমার কথায় সায় দিয়ে কিছু একটা বলবেন; কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে দিন তিনি বলেছিলেন, ‘এতটুকু একটা দেশ, এটাই তো আমার বাড়ি, এ দেশের মানুষই তো আমার পরিবার। দেখ না, যে এলাকায় যাই, সেই এলাকাটাই কেমন করে আমার হয়ে যায়, যে রাস্তায় দাঁড়াই, সেখানেই লাখো মানুষ এসে জড়ো হয়, যা চাই, তাই তারা আমাকে দিয়ে দেয়।’ বিস্মিত হয়ে গেলাম, আর একটি কথাও না বলে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
এই মহীয়সী নারীই নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ডেকে এনেছিলেন। তার হাত ধরে প্রথম এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র, অবাধ ভোট এসেছিল। তিনি নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন, চালু করে ছিলেন উপবৃত্তি, বিনা মূল্যে বই দিয়েছিলেন, নারী অধিকারের নেত্রীরাও এতটা ভাবেনি তখন। খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, এটিও ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনকালে সমালোচিত হওয়ার মতো একটা কথাও তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উচ্চারণ করেননি। এটাই বেগম খালেদা জিয়া। এটাই আপসহীন দেশনেত্রী।
পাঁচ.
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর নাম এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকে বিএনপিতে অনেক উত্থান-পতন হলেও ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা কখনোই কমেনি। এখনো না। অথচ তিনি আজ চরমতম নিষ্ঠুরতার শিকার। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ায় ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সেন্ট্রাল জেলের নির্জন প্রকোষ্ঠে কারাবন্দী থেকে এখন অবধি গৃহবন্দী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক ট্র্যাজিক রাজনীতিবিদের নাম বেগম খালেদা জিয়া। শের আফগান ও মেহেরুন্নেসার পরবর্তী সময়ে নূরজাহানের জীবনীকেও হার মানায় বেগম খালেদা জিয়ার জীবনকাহিনী। অথচ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, সাবেক সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। তিনি সার্কের প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী। তিনি নিজে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দুইবার সংসদের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। স্বামী রাষ্ট্রপতি আর স্ত্রী অর্থাৎ তিনি জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী, এই রেকর্ড বাংলাদেশে আর কারো নেই। যিনি ’৯১, ’৯৬ ও ২০০১ সালে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে (সিটে) দাঁড়িয়েছেন এবং প্রতিবার পাঁচটিতেই জিতেছেন! হারার রেকর্ড নেই। আছে জয়ের হিমালয়সম ইতিহাস।
২০০৮ সালে মিলিটারি ব্যাকড মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার বেগম জিয়াকে টার্গেট করে পাঁচ সিটে ভোটে দাঁড়ানোর বিধান বদলে সর্বোচ্চ তিন সিটে দাঁড়ানোর আইন করলে বেগম জিয়া তিন সিটে দাঁড়ান এবং তিন সিটে জয়লাভ করেন। যিনি আপসহীন দেশনেত্রী। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আপস কাকে বলে সে শব্দ যার অভিধানে নেই।
জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আপসহীনতার রেকর্ড বেগম জিয়া, শহীদ জিয়া ও মওলানা ভাসানী ছাড়া আর কারো নেই। আভিজাত্যের ছোঁয়ায় লালিত হয়েও যিনি অতি সাধারণ। ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সবসময়ই তুঙ্গে, যার ধারে কাছে এখনো কেউ যেতে পারেনি, ব্যতিক্রম একমাত্র শহীদ জিয়া।
তিনিই বাংলাদেশে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী যিনি চার-চারবার বন্দী হয়েছেন; একবার পাকিস্তান সরকার, দ্বিতীয়বার জেনারেল এরশাদ সরকার, তৃতীয়বার মিলিটারি ব্যাক মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার ও চতুর্থবার শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। ২০১৫ সালের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকালে আলোচিত ও সমালোচিত বালুর ট্রাক দ্বারা বন্দিত্ব জীবনের রেকর্ডটিও বেগম জিয়ার। ম্যাডাম থেকে ‘মা’ হতে পারার রেকর্ডটিও বেগম খালেদা জিয়ার দখলে।
জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করার অপরাধে স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত মইনুল রোডের বাস্তুভিটা থেকে বিতাড়িত, বিনা অপরাধে কারাদ- ও শাস্তিভোগ, অল্পবয়সে বৈধব্যবরণ সত্ত্বেও মাথা নত করেনি। দৃঢ়চিত্তে সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে ধারণ করার কারণে আজো যিনি সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদের ভাষায় এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা ‘বেগম খালেদা জিয়া’।
ছয়.
ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী দেড় দশক পার হয়ে গেল, এই মহীয়সী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো গৃহবন্দী। কিন্তু কেন? সব সত্য জেনে শুনে আমরাও আজ পরিস্থিতির কাছে অসহায় ও নীরব। কিন্তু ম্যাডামের আবেদন এ দেশের মানুষের কাছে চির অম্লান। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ এক সরকারি আদেশে ফিরোজায় নিয়ে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। ম্যাডাম জিয়ার মুক্তির সাথে জড়িয়ে গেছে এ দেশের ভাগ্যাহত মানুষের মুক্তি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই হবে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের নবসূচনা।
লেখক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com