চলতি বছর (২০২৩) এসএসসি ও সমমানে ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এরমধ্যে ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন বা ৮০ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি পরীক্ষা-২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এরমধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন।
এছাড়া এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৫ জন ছাত্রী। এবার মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এ বছর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২০৭টি, কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
মেয়ে পরীক্ষার্থী বাড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তো নারী শিক্ষার্থী বাড়ার বিষয়ে জানাতে গবেষণা করতে হবে, সেটি তো আমাদের নেই। আমি যদি সাধারণ ধারণা থেকে বলতে চাই, মেয়েরা এখন অনেক বেশি পড়ছে। পড়ার সুযোগ বেশি, সচেতনতা তৈরি হয়েছে, মেয়েদের সংখ্যা এখন অনেক বাড়ছে। কাজেই প্রতি বছরই হয়তো মেয়েদের সংখ্যার বাড়ার বিষয়টি দেখতে পাবো।
তিনি আরও বলেন, একটা আশঙ্কা ছিল যে, কোভিডের সময়ে নারী শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। কারণ বাল্যবিয়েটা ক্লাস এইট, নাইন, টেনের সময়ে হয়। গত দুই-তিন বছর যখন পরীক্ষা নিয়ে কথা বলি, আপনাদের কিন্তু পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছি। প্রত্যেক বছরের পরিসংখ্যান তার সঙ্গে তুলনা করলেও কোভিড সময়েও নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেনি।
বাল্যবিয়ে বেড়েছে না কমেছে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, বাল্যবিয়ে বেড়েছে কী বাড়েনি। কিন্তু আমাদের নারী পরীক্ষার্থী কমেনি। অর্থাৎ যদি বাল্যবিয়ে হয়েও থাকে সে হয়তো পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। প্রতিবার নারী পরীক্ষার্থী বাড়ছে, এ বছরও বেড়েছে। হয়তো বাল্যবিয়ে এখন কমেছে, মেয়েদের কর্মক্ষেত্র অনেক বেড়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। একই সঙ্গে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারাদেশে বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার।