সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ একটি উপজেলার নাম উল্লাপাড়া। আর এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সে সময়কার অবহেলিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইউনিয়নের নাম উধুনিয়া। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উল্লাপাড়ার জনপ্রিয় এমপি তানভীর ইমামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিলের মধ্য দিয়ে অবহেলিত রাস্তাটি পাকা হওয়ায় উধুনিয়াবাসীর যাতায়াতের পথ সুগম হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাপাড়া-উধুনিয়া বিলের সুদীর্ঘ ৪/৫ কি: মি: আকাবাঁকা, দৃষ্টিনন্দন পাকা রাস্তাটি বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিনোদন এলাকায় রুপ নিয়েছে। শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের বিকেল হতে শুরু হয়েছে বিল এলাকায় বিপুল সংখ্যক বিনোদন প্রেমী তরুণ-তরুণী,শিশু সহ নানা বয়সী মানুষের সমাগম চলছে।এলাকার লোকজন ছাড়াও দুর দুরান্ত হতে মোটরসাইকেল,মাইক্রো,ভ্যান- রিক্সা ছাড়াও নসিমন গাড়িতে ডিজে গানের ভক্তরা বক্স নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এ বিল পাড়ে বিনোদন করতে ভীড় করছেন। বেলা যত গড়িয়ে যায় লোকজনের ভীড়ের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঈদের দিন বিকেল হতে আজ পর্যন্ত মোটরসাইকেল, ভটভটি, ইজিবাইক ও ভ্যানের কারণে উধুনিয়া বিল এলাকার রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে উধুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার পরিষদের গ্রাম পুলিশদের যানজট নিরসন ও বিনোদন প্রেমীদের নিরাপত্তায় সার্বিক সহযোগীতা করতে দেখা গেছে। ঈদের বিনোদনে বিল পাড়ে পাকা রাস্তার দুধারে ফুচকার দোকান, শিশুদের খেলনাসহ পান-সিগারেট ও কোমল পানীয়ের দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বেচাকেনা করছেন। কয়েকজন দোকানী জানান, ঈদ বিনোদনে লোকজনের যেমন ভীড় হচ্ছে,বেচাকেনাও আশানুরুপ হচ্ছে। তবে বর্ষা মৌসুমে বিনোদন প্রেমীদের পদচারনা দীর্ঘ সময় হওয়ায় বেচাকেনা আরও বেশী হয় বলে অনেক দোকানী জানায়। চাটমোহর হতে সোহেল-লিজা দম্পতি স্বপরিবারে ঘুরতে এসেছেন এখানে। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা বলেন, বাংলাপাড়া-উধুনিয়া বিলে বিনোদন স্পটের কথা অনেক দিন ধরে শুনছি। তাই ঈদের ছুটির ফাঁকে একটু ঘুরতে এসেছি। বেলকুচির রাজু, রুবেল, রিপন, রানা, রাকিব জানায়, বাইক যোগে বন্ধুদের নিয়ে এতদূর ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এখানে এসেছি।স্থানীয় উধুনিয়া এলাকার কয়েকজন জানান, বিশাল বিলের মাঝখান দিয়ে আকাবাঁকা রাস্তাটি পাকা হওয়ায় দেখতে সুন্দর, মনোরম পরিবেশ, নির্মল বাতাসে বিনোদনে খুবই আরাম দায়ক বলে ঈদের সময় প্রচুর উৎসুক মানুষের ভীড় হয়।