নওগাঁর মহাদেবপুরে থামছেনা মৃত্যুর মিছিল। একের পর এক ঝড়ে পড়ছে তরতাজা প্রাণ। সড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবি স্থানীয়দের। বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাদেবপুর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বেলঘরিয়া নামক স্থানে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ এ। আহত ১৫ জন নওগাঁ জেলা আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসব পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সমসের আলী ম-লের ছেলে পিকআপের চালক হারুন অর রশিদ ম-ল বাঘা (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন, হাসপাতালে নেয়ার পথে নিহত হন বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সারপুকুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬০)। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কাচারিপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে আফাজ উদ্দিন (৪৮) ও আবু বকরের ছেলে বকুল হোসেন (১৮)। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। থানা পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতি পরিবহণের বাস ও মহাদেবপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী পিকআপভ্যানটি জব্দ করেছে।
সরেজমিনে উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের সামনে দিয়ে অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী ডাম্পার, অবৈধ ট্রাক্টর ও ট্রাক। কিন্তু এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো আইন প্রয়োগ না করে শুধু মোটরসাইকেল ধরপাকড় করছেন তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈধ ট্রাক্টর, ভুটভুটি, ট্রলি ও ১০ চাকার ডাম্পার ট্রাকের বেপরোয়া চলাচল বেড়েছে। ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়ক। এদের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। প্রশাসনের নাকের ডগায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই জেলাজুড়ে ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাস পরিচালনা করছেন মালিকরা। রহস্যজনক কারণে কোনোই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে।