নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে(১৫) কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার হওয়া কাউসার মিয়ার(১৮) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা কমিটি জেলা শহরের ছোট বাজারে স্থানীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। নিহত মুক্তি রানী বর্মণ জেলার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে উদীচী উপজেলা কমিটি ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ বারহাট্টার ইয়ূথ গ্রুপের সদস্য ছিল। আর অভিযুক্ত কাউসার মিয়া একই গ্রামের দিন মজুর মো. সামছু মিয়ার ছেলে। নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকাউসার মিয়াকে বুধবার বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে কাউসার মিয়ার বিরুদ্ধে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠায়। বালাদেশ মহিলা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম এ্যানির সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন- নারী নেত্রী অধ্যাপক নেলী বড়ুয়া, জেলা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা সংসদের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি পূরবী কু-, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় তালুকদার, জলসিঁড়ি পাঠাগারের পরিচালক কলেজ শিক্ষক দীপক সরকার, আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুল কবির সরকার, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা শামছুর নাহার বিউটি ,সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী, প্রমুখ। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা বলেন, স্কুলছাত্রী মুক্তি রানীর হত্যাকারী কাউসার মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।