গত কয়েক সংসদ নির্বাচনে আমি শেরপুর ১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের হয়ে মনোনয়ন কিনেছিলাম। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি শতভাগ আশাবাদি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে শেরপুর ১ আসন নৌকার মনোনয়ন দিবেন। গত শনিবার (৬ মে) জেলা শহরের বটতলাস্থ অফিসে সাংবাদিকদের একথা জানান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফাতেমা তুজ্জহুরা শ্যামলী। এসময় তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীতার ঘোষনা ও দেন। জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাবেক এই এমপি বলেন, আমি শেরপুর জেলার সন্তান। সংসারের শত ব্যস্ততা রেখেও আমি জেলাবাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিগত করোনা মহামারির সময়ে আমি কর্মহীন অসহায় পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি, শীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করেছি, রমযানে হতদরিদ্র পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরন করেছি। এছাড়াও বেশ কয়েক বছর ধরে ঈদুল ফিতরে আমি আমার ব্যাক্তিগত সহায়তায় শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের গরীবদের মাঝে যাকাতের কাপড় তুলে দিয়েছি। আমি এই জেলার মানুষ, এখানকার প্রতিটি মানুষজন আমার আপনজন। শেররপুর আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, আমি গরীব ও অসহায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া খরচ বহন করি।বিভিন্ন উৎসব পার্বণে নানা ধর্মের লোকদের আর্থিক সহযোগীতা করে আসছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে শেরপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেয় আমি অবশ্যই বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। পাশাপাশি নৌকা মার্কায় বিজয়ী হয়ে এই আসনটি তাকে উপহার দিতে পারবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বক্তব্যের শেষে শ্যামলী বলেন, আমি নিজেও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক। তাই আমি সকল সাংবাদিকদের কাছে এবিষয়ে সহযোগিতা চাই। মতবিনিময় সভায় জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা রহমান শিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফা আক্তার লাকী, এডভোকেট হরিদাস সাহা, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফেরদৌসী আক্তারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।