চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাদ্রাসার দুই শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পটিয়া পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ডের একতা আবাসিক এলাকার আনোয়ারুল কোরআন মারকাজুল তাহফিজ মাদ্রাসার পরিচালক মো. মঈন উদ্দিন(২৪) প্রকাশ মানিককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত মঈন উদ্দিন কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত নুর আহমদের ছেলে। পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার পৃথক দুই জন অভিভাবক তাদের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট্ট ছেলেকে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পটিয়া থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, ওই মাদ্রাসার প্রায় শতাধিক শিশু কোরআন শিক্ষা নেয়। সেখানকার ১০ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছাত্রকে ওই পরিচালক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বলৎকার করেছেন। শিশুর বাবা বলেন, দেড় বছর আগে তার ছেলেকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। রবিবার রাতে শিশুটি তাকে হুজুরের নির্যাতনের বিষয়টি জানান। এরপর সোমবার রাতে আমি মাদ্রাসায় এসে হুজুরকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিই। এতদিন ধরেই ওই শিশুসহ আরো অনেকেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। মামলার বাদী অপর শিশুর বাবা জানান, তিনি তার ছেলে ও অন্য শিশুর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারে তার শিশুও হুজুরের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই তিনি হুজুরকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জহির আমিন বলেন, ভুক্ত?ভোগী শিশুগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালককে আটক করা থানার নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর অভিভাবকদের পৃৃথক দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে তাকে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় সে ঘটনার সত্যতা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।