কিশোর পাতা আয়োজিত জাতীয় গল্প লেখা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। বাংলাদেশের তরুণদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে গতিশীল এবং সাহিত্যের সৃজন ও বিকাশ উদ্যোগকে দীপিত করার লক্ষ্যে পাঠকনন্দিত মাসিক কিশোর পাতা প্রথমবারের মতো জাতীয় গল্প লেখা প্রতিযোগিতা ২০২২ আয়োজন করেছিল। আগ্রহী তরুণ (ছেলে-মেয়ে উভয়) লেখকদের কাছ থেকে তাদের মৌলিক ও সৃজনশীল গল্প কিশোর পাতার ঠিকানায় এলে সেগুলো থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়। বিশিষ্ট লেখক, গীতিকার, নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত লেখক সম্পাদক, অধ্যাপক, কবি, আব্দুল হাই শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসাইন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, কিশোর পাতার আজকের এ উদ্যোগ বাংলাদেশে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এ প্রজন্মকে নতুন দিশা দেয়ার জন্য যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে, যদি আমরা আমাদের চিন্তাচেতনাকে জাতির কাছে পৌঁছে দিতে পারি। তোমরা সত্যকে, সুন্দরকে ধারণ করবে, যা তোমাদের লিখনির মাধ্যমে ফুটে উঠবে। তোমাদের লেখায় যেন ইসলামের চিরন্তন আদর্শ থাকে যার মাধ্যমে তোমারও চিরন্তন হয়ে থাকবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, আল্লাহ যাদের বিশেষ ভাবে পছন্দ করেন তাদেরকে বিশেষ গুন দান করেন। ভালো কবিতা ও গল্প লিখতে পারাটা আল্লাহর বিশেষ নেয়ামতের একটি অংশ। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তোমাদেরকে সেই নেয়ামত দান করার মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। নবীজির (সা) উপর প্রথম যে ওহি নাযিল, সেখানে কলমের মাধ্যমে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। রবের গুনাবলী বিশালত্ব ও বড়ত্ব নিয়ে লিখে তোমরাও চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারো। তোমাদের সেই চেষ্টা চালানোর আহবান জানাচ্ছি পত্রিকার সহকারি সম্পাদক,তৌহিদুল ইসলাম আকবর বিজয়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে সারাদেশের তরুণ সাহিত্য প্রেমীদের প্রতিনিধিত্ব করার সক্ষমতা অর্জন করেছো। আমরা বিশ্বাস করি তোমরাই আগামী দিনে সুস্থ ধারার সাহিত্য বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানের সভাপতি কবি জাকির আবু জাফর বলেন- কিশোর পাতার শুরু থেকে ছিলাম। আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছে কাছে পৌঁছে গেছে এ পত্রিকাটি। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিজয়ী হয়ে তোমরা এখানে এসেছ। তোমাদের সফলতায় আমরা মুগ্ধ। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে তোমরা- এ প্রত্যাশা সবসময়। তোমাদের সারা বিশ্বকে পাঠ করতে হবে। মানুষকে পড়তে হবে। তবেই তোমাদের মানবজীবন সার্থক হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কিশোর পাতার সহকারি সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল বাতেন, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ, নাহিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। পুরস্কার বিজয়ীরা হলো ক বিভাগে প্রথম স্থান : আরমান খাঁন ছামির, খিলা আজিজ উল্লা উচ্চবিদ্যালয়, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। দ্বিতীয় স্থান : অনিকা আক্তার সিনথিয়া, তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা। তৃতীয় স্থান : আব্দুল্লাহ আল নাসিফ, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা,যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। চতুর্থ স্থান : ফয়সাল ইকবাল রাজু, আল মাদ্রাসাতুদ দ্বীনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মাইজদী কোর্ট সদর, নোয়াখালী। পঞ্চম স্থান : আয়েশা সিদ্দিকা মৌ, হযরত খাদিজা রা. মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা, সদর, নওগাঁ। খ বিভাগে প্রথম স্থান : ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। দ্বিতীয় স্থান : রিদওয়ান উল হক আবির, বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম। তৃতীয় স্থান : খন্দকার নূর হোসাইন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা। চতুর্থ স্থান : মো: মাহমুদুল হাসান, আলোকদিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মডেল মাদ্রাসা, সদর, সিরাজগঞ্জ।পঞ্চম স্থান : মুহাম্মদ আদনান সাকিব, জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মুহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭। প্রেস বিজ্ঞপ্তি