চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চরম্বার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলাগুলি হয়েছে। এসময় দেশীয় তৈরী দুটি এক নলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলিসহ পাহাড়ি সন্ত্রাসী চন্দ্র চাকমাকে(৩৮) আটক করা হয়েছে। তবে, এ গুলাগুলির ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান। এর আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বান্দরবান পার্বত্য জেলা সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আটক চন্দ্র চাকমা বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদরের টংকাবতী পুণর্বাসন চাকমা পাড়ার সুনীল চাকমার ছেলে। ব্রিফিংকালে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় দুইজন পাহাড়ি সন্ত্রাসী চরম্বা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম পাহাড়ি টিলায় অবৈধ অস্ত্রসহ অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ঘেরাও করলে তাদের হেফাজতে থাকা অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গুলির শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ার পর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের বন্দুকের চেম্বার হ্যাং হয়ে গেলে আর নতুন করে গুলি ছুড়তে পারেনি। তাৎক্ষণিক তাদেরকে ধাওয়া করে তন্দ্র চাকমা নামের একজন পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুকসহ আটক করতে সক্ষম হন। অপর পাহাড়ি সন্ত্রাসী বন্দুক রেখে কৌঁশলে পালিয়ে যায়। এদিকে, আটক পাহাড়ি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, এসআই শরীফুল ইসলাম পিপিএম, এসআই রুহুল আমিন ও এএসআই মোরশেদ আলমসহ সঙ্গীয় থানা পুলিশের টিম।