চট্টগ্রাম লোহাগাড়ায় আধুনগর কুলপাগলী এলাকায় বন্য হাতি তান্ডবের খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার আধুনগর জঙ্গল রশিদেরঘোনা কুলপাগলী গোলাইম্মা ঘোনা নামক এলাকায় নুরুল কবিরের সৃজিত আম বাগানে এ তান্ডব চালায় হাতির পাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ। নুরুল কবির আধুনগর ৪নং ওয়ার্ডের কুলপাগলী শাহ্ গুরা মিয়া ফকির পুত্র। সে আধুনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুলপাগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি। ভুক্তভোগী বাগানের মালিক নুরুল কবির সাংবাদিককে জানান, দুই দিন ধরে আমার সৃজিত আম বাগান সহ বিভিন্ন ফলফলাদির গাছে বন্য হাতির পাল আক্রমণ করে সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বর্তমান সরকারের কর্মী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল হিসেবে এলাকায় ফল-ফলাদির চাহিদা মেটাতে আমাদের খতিয়ানভুক্ত এবং আশপাশের লোকজন থেকে বর্গা নিয়ে ৫ একর বনভূমিতে বিগত ৯ বছর আগে বিভিন্ন ধরণের ফলজ গাছ রোপন করে বাগান সৃজন করি। এই বাগান পরিচর্যা করে গড়ে তুলতে আমার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, সম্প্রতি হাতির পাল দ্বারা আমার এই সম্বল হারিয়ে আমি ও আমার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মাহমুদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমবাগানে বন্য হাতির তান্ডবের বিষয়ে এখনও অবগত হইনি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে এবং উক্ত আমবাগান খতিয়ানভুক্ত হলে আমাদের অভয়ারণ্য নিয়ম-কানুন অনুযায়ী যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরিবেশষ বিশেষজ্ঞবৃন্দ মনে করেন, যেভাবে বনাঞ্চল উজাড় হয়েছে, হচ্ছে, এতে পশু প্রজাতি আবাসস্থল হারিয়ে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। বনাঞ্চলে অবস্থিত বনজ গাছপালাগুলোর মাধ্যমেই খাবারের ব্যবস্থা করত এসব বন্যপ্রাণী। বর্তমানে অবিচারে বন নিধনের ফলে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে লোকালয়ে আক্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। তাই পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ জরুরী।