সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নবগঠিত পৌরসভার নির্বাচনী এলাকার আপামর জনসাধারণ জানিয়েছেন নৌকা প্রতিকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে হেবি ওয়েট প্রার্থী তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। গতকাল শনিবার দিনভর পৌর শহরসহ পৌর এলাকার জনসমাগম স্থল, বিশেষ করে হাট বাজার ঘুরে এরকম তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোটাররা। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আব্দুল জলিল বলেন, আব্দুস সালাম বিএসসি একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ। আমরা তাকে ছাত্র জীবন থেকে চিনি। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক মনোনীত হয়ে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ভোটে জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছিল সে। এসময় তাকে গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও পাঠ্য পুস্তুকসহ নানাবিদ সহযোগিতা করতে দেখিছি। পৌর এলাকার উলিপুর গ্রামের সাবেক জন প্রতিনিধি পিয়ার আলী বলেন, আব্দুস সালাম বিএসসি একজন কর্তব্য পরায়ন মানুষ। সৎ ও নিষ্ঠায় তিনি অনন্য। নবগঠিত ও সেবাবঞ্চিত তাড়াশ পৌরসভার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য আব্দুল সালাম বিএসসি ছাড়া মেয়র হিসেবে অন্য কেউ বিকল্প নেই। পৌর এলাকার খুঁটিগাছ গ্রামের মো. ছোলায়মান হোসেন বলেন, যাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান ঠিক নাই। তারা কখনো মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারেনা। সেদিক থেকে আব্দুস সালাম বিএসসি একজন যোগ্য প্রার্থী। খুটিগাছা গ্রামের বিশ্বদেব নামে আরেকজন ভোটার বলেন, পৌর মেয়র হিসেবে সালাম বিএসসি নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার লোকজন কাঙ্খিত সেবা পেতেন। খুঁটিগাছা গ্রামের এই দুইজন ভোটার আরো বলেন, কত নেতা এলো-গেলো। কিন্তু দীর্ঘ কালেও আমাদের খুঁটিগাছা গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা হলোনা। বৃষ্টি হলে কাঁদার সড়কে হেঁটে যাওয়া যায়না। মানুষ মারা গেলে নৌকায় করে লাশ কবরস্থানে নিয়ে যেতে হয়। অন্যান্য ভোটাররা এও বলেন, আমাদের গ্রামে ১ হাজার ৫০০ মতো ভোটার রয়েছে। যাদের অধিকাংশ আব্দুস সালাম বিএসসিকে পৌর মেয়র হিসেবে দেখতে চান। তারা বলেন, সালাম বিএসসি একজন ভালো মানুষ। কেবল তাকে দিয়েই সততার সাথে যথাযথ উন্নয়ন সম্ভব। পৌর এলাকার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের বাবলু প্রামানিকের স্ত্রী আমির জান বলেন, আমি গ্রামের একজন অতি সাধারণ মানুষ। কিন্তু পৌর মেয়র হিসেবে এমন একজন মানুষকে দেখতে চাই। যিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, সৎ ও একজন চরিত্রবান মানুষ। আব্দুস সালাম বিএসসির মধ্যে সেসব গুণ রয়েছে। সোলাপাড়া গ্রামের মজনু নামে একজন বয়বৃদ্ধ বলেন, আমি এখনো কোন মেয়র প্রার্থীকে চিনিনা। কিন্তু যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন ও পৌর এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন তাকেই ভোট দেব। সোলাপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম(৭৫) বলেন, সোলাপাড়ার মাটিকে আওয়ামীলীগের ঘাটি বলা হয়। কিন্তু সোলাপাড়াতে রাস্তার দুর্ভোগ বহুকালের। আব্দুস সালামের মতো একজন নামাজি ও সৎ মানুষ তাড়াশ পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উপযুক্ত মেয়র প্রার্থী। পৌর এলাকার কহিত গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী ও অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, সালাম বিএসসি নিসন্দেহে একজন সৎ মানুষ। তার দ্বারা তাড়াশ পৌরবাসীর জীবনমানের শতভাগ উন্নয়ন সম্ভব। তাড়াশ পৌর শহরের উত্তর পাড়ার সাবেক শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ ও পৌর মৎস্য লীগ নেতা লুৎরহমান বলেন, আমরা তাড়াশের মানুষ। তাড়াশ পৌর এলাকার কোথায় কী ধরনের সমস্যা রয়েছে সে সম্পর্কে আব্দুস সালাম বিএসসি অবগত আছেন। একমাত্র সালাম বিএসসি পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলেই সেসব সমস্যার সঠিক সমাধন হবে বলে মনে করি। একই সাথে পৌরবাসীর সব ধরনের দুর্ভোগের লাঘব হবে। এদিকে কাউরাইল গ্রামের ভোটাররা জানিয়েছেন, আমরা এমন একজন যোগ্য পৌর মেয়র চাই “ যিনি সৎ, ধার্মিক, পৌর বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করবেন না। জানা গেছে, আব্দুস সালাম বিএসসির রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তৎকালীন সময়ে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতির শুরু। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সফলতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন সালাম বিএসসি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক মনোনীত হয়ে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ভোটে জিএস পদে নির্বাচিত হোন। এসময় তিনি গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও পাঠ্য পুস্তুকসহ নানাবিদ সহযোগিতা দিয়েছেন। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ভাড়াশ উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালীন সময়ে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা: মো. আব্দুল আজিজ এমপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপজেলা পর্যায়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এবং সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর বিজয়ের নিমিত্তে তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করেছেন। ২০২০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রসঙ্গে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুস সালাম বিএসসি দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, সন্মান দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ। আমি আশাবাদী নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন পেলে ভোটাররা আমাকেই মেয়ের হিসেবে বেছে নেবেন।