কক্সবাজারে পৌনে দুই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠা ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে মরহুম মাওলানা জসিম উল্লাহ মিয়াজী পরিবার ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে )রাত ৮ টার দিকে ঈদগাঁও বাজারের মিয়াজি পরিবারের নিজস্ব অফিসে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মরহুম মাওলানা জসিম উল্লাহ মিয়াজির ছোট ভাই ব্যবসায়ী হাফেজ শহীদ উল্লাহ মিয়াজী ও মরহুমের বড় ছেলে ব্যবসায়ী আসিফ আওসার তকি। সম্প্রতি ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিক এবং বিভিন্ন অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হয়। এ সব নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যায় খুরশীদুল জন্নাত কর্তৃক অসত্য ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আসিফ আওসার তকি জানান, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যাতে প্রধান শিক্ষক সর্বৈব মিথ্যা, মানহানিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছেন। যা আমার মরহুম পিতার আত্মাকে খুবই কষ্ট দিয়েছে। আমার পরিবারের সুনাম চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। এতে আমাদের হৃদয়ে প্রচুর রক্তকরণ হচ্ছে। তকি আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের এমন ঘৃণ্য কাজ আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। ঈদগাঁওবাসী জানেন, আমার মরহুম পিতা সমাজে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ছিলেন। তার অর্থ-বিত্তের কোন কমতি ছিল না। জীবদ্দশায় তিনি ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ১৯৯৮ ইংরেজি সাল হতে আমৃত্যু সেক্রেটারি ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শহীদ উল্লাহ মিয়াজী বলেন, তার বড় ভাই পোকখালি ইউনিয়নের ইছাখালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিজ পিতার নামে নিজস্ব অর্থায়নে ভবন তৈরি করে দিয়েছেন। ঈদগাঁও উপজেলার অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলে নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ইট দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নিরন্তর কাজ করে গেছেন তার মরহুম বড় ভাই জসিম উল্লাহ। তিনি জীবনের পুরোটা সময় ঈদগাঁওতে কাটিয়েছেন এবং এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। মিয়াজী আরো উল্লেখ করেন, তার বড় ভাই জসিম উল্লাহ মিয়াজী হকের উপর থেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। স্থানীয় মসজিদে পবিত্র জুমার খুতবা দেয়ার সময় তিনি স্রষ্টার ইচ্ছায় ইন্তেকাল করেছেন। এহেন ব্যক্তিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ লিখনি আমার মরহুম ভাইয়ের সম্মানহানি করেছে। আমার ভাইয়ের জীবিত সময়ের প্রায় ১২ বছর পরে এবং ইন্তেকালের প্রায় ৪ বছর পর তার সম্পর্কে এ ধরনের মিথ্যা অপবাদ প্রচার করা হয়েছে। যার কারণে আমাদের পরিবার ও ঈদগাঁওবাসী চরমভাবে ব্যথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। তিনি তার বড় ভাইকে নিয়ে অবমাননাকর লেখার বিরুদ্ধে আইনী আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মরহুম জসিম উল্লাহ মিয়াজী পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের অভিভাবক মরহুম জসিম উল্লাহকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত ও সমালোচিত প্রধান শিক্ষক যে জঘন্য অপবাদ প্রচার করেছেন তাতে বিভ্রান্ত না হতে ঈদগাঁওবাসী সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এতে পরিবারের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মিয়াজী, মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র সহ তাদের শুভাকাঙ্খীরা।