লিগ ওয়ানে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল পিএসজি, এই আসরের শিরোপা নিশ্চিত করেছে দলটি। টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে একাদশতম লিগ ওয়ান শিরোপা ঘরে তুললো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জয় পায়নি পিএসজি, শনিবার রাতে স্ত্রাসবুরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। শিরোপা জিততে শেষ দুই ম্যাচে পিএসজির প্রয়োজন ছিল কেবল ১ পয়েন্ট। লিওনেল মেসির গোলে সেই এক পয়েন্টের সমীকরণ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেললো দলটি।
অবশ্য শিরোপা নিশ্চিত করতে বেশ ভালোই লড়াই করতে হয়েছে পিএসজিকে। প্রথমার্ধে কোনো গোলই করতে পারেনি দলটি। অবশ্য তেমন কোনো সুযোগও তৈরী করতে পারেনি তারা। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথমার্ধের একমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় পিএসজি৷ তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিপরীত ভালোই পাল্লা দিয়েছে স্ত্রাসবুর। ১৫তম মিনিটে বিতিশিয়াবুর দুর্বল ব্যাকপাসে দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যায় স্ত্রাসবুর। গোলের জন্য শট নেন হাবিব দিয়ালো। তবে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে পিএসজির ত্রাতা বনে যান সের্হিও রামোস। ৩৮তম মিনিটে দিয়ালোর আরো একটি শট বৃথা যায় গোল পোস্টে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না পিএসজি। আবার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা স্ত্রাসবুরও পারছিল না পিএসজির জমাটরক্ষণ ভাঙতে। শেষ পর্যন্ত ৫৯তম মিনিটে গোলমুখ খোলেন লিওনেল মেসি। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। চলতি আসরে এটি তার ১৬তম গোল। ৭০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপ্পে। পাল্টা আক্রমণ থেক ডি বক্সে বল নিয়ে পৌঁছে যান মেসি। তবে সেখান থেকে এমবাপ্পেকে বল এগিয়ে দিলে শট নিয়ে তা লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন ফরাসি এই ফরেয়ার্ড। এরই মাঝে একের পর এক আক্রমণ করে স্ত্রাসবুর গোলমুখ খোলে ফেলে।৭৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। যদিও প্রথম প্রচেষ্টায় মর্গ্যান সানসনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। তবে ফিরতি বলে পা ছুঁয়ে বাকি কাজটা সারেন পিএসজিরই সাবেক খেলোয়াড় কেভিন গামেইরো।
৮৬তম মিনিটে আরো একটা সুযোগ পায় পিএসজি। তবে দারুণ দক্ষতায় এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে সমতা ধরে রাখেন স্ত্রাসবুর গোলরক্ষক সেলস। আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। এই ড্রয়ে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন করে নিজেরাও নিশ্চিত করে আগামী মৌসুমে লিগ ওয়ানে টিকে থাকা। ৩৭ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে ৮৫ পয়েন্ট হলো পিএসজির। ৮১ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে আছে লঁস। শেষ ম্যাচ পিএসজি হারলে আর লঁস জিতলেও শিরোপা নিজেদেরই থাকবে পিএসজির।