রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

নির্যাতন যত বাড়বে আন্দোলন তত তীব্র হবে : নজরুল ইসলাম খান

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন যত বাড়বে, আন্দোলনের গতি আরো তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী’র ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন হয়।
তিনি বলেন, বহু বছর ধরেই দেখছি যারা গণতন্ত্রের কথা বলে এই অগণতান্ত্রিক সরকার তাদের উপর নিপীড়ন চালায়। তাদের ওপর আক্রমণ করে আহত-নিহত করে, গুম-খুন করে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়, গ্রেফতার করে হয়রানি করে। এসব অপরাধ করার পরেও এই সরকার দাবি করে তাদের হাতেই নাকি গণতন্ত্র নিরাপদ। আসলে এই সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরশাসক এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক আমাদের নিপুণ রায়ের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হামলা করে গুরুতর আহত করেছে। নিপুণ সাহস হারায়নি। আমাদের এই ক্ষোভ পুষে রাখতে হবে। আগামীতে যে বৃহত্তর আন্দোলন হবে সেখানে এই ক্ষোভ ব্যথা বুকে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই দেশে ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনের যাতে বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতারা অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার নতুন কৌশল নিয়েছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন ১৯৭০’র নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কেউ বাইরে ছিলেন না। কিন্তু সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করেছিল। স্বৈরাচার এরশাদ বিএনপির অনেক নেতাকে বাগিয়ে নিয়েছিলেন, যার কারণে ভালো প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরও বিএনপি ‘৯১ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। সরকারকে বলব বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের সাজা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল ভুল বরং এই কৌশলের কারণে আওয়ামী লীগ আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য রবিউল ইসলাম রবির পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com