ঢাকার আশুলিয়ার একটি কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাদের নাম এবং মাদ্রাসার নাম অয়াল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বেশ কিছু দিন আগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্লাহ অন্য একটি মসজিদে ইমামতি ও রমজানে তারাবির নামাজ পড়ানোর দায়ে তাকেও চাকুরীচ্যুত করে প্রিন্সিপাল। এসব ঘটনায় এলাকাবাসি ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বলছিলাম ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার কথা। ওই মাদ্রসা কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মো: সুমন মন্ডল এবং মুতওয়াল্লী আব্দুস সালাম জানান, ১৯৮৪ সালে এলাকাবাসির সহযোগিতায় কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে এখানে সরাবে বেফাকিয়া পর্যন্ত পড়াশোনা করা হত। সেই সময়ে যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী মন্ডল, আলহাজ্ব সফিজ উদ্দিন বেপারি, মৃত খিদির আলী মুন্সী সহ এলাকার তৎকালীন মুরুব্বীগণ। জমি দান করেছিলেন মৃত করম আলী মন্ডল, মৃত জয়নুদ্দিন মন্ডল, মৃত সবুর উদ্দিন মন্ডল, মৃত ছলুর উদ্দিন মন্ডল প্রমূখ। কিন্তু সম্প্রতি ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমান নিজে মাদ্রাসার নাম পাল্টে দিয়ে দারুল উলুম কওনী মাদরাসা ও এতিমখানা রাখেন। আর যেখানে প্রতিষ্ঠাতাদাতা হিসেবে নাম লিখে দেন মাহমুদুল হাসান এবং নাঈমা সুলতানা। যা নাম ফলক থেকে সংগ্রহ করা হয়। তারা আরো জানান, বেশ কিছু দিন আগে মাদ্রাসার গেল রমজান মাসে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমানের অনুমতি নিয়েই অন্য একটি মসজিদে ইমামতি ও তারাবির নামাজ পড়ান মাওলানা হাবিবুল্লাহ। তিনি ওই মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। অন্য মসজিদে নামাজ পড়ানোর অপরাধে তাকে মাদ্রাসা থেকে চাকুরিচ্যুত করে বের করে দেন। এই কাজটি অত্যান্ত গর্হিত একটি কাজ হয়েছে। মাদ্রাসার কোন শিক্ষককে অপরাধ করলে বা বাদ দিতে হলে এখানে কমিটি আছে। কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। প্রিন্সিপালতো একা সিদ্ধান্তে কাউকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিতে পারে না। এটা উচিত হয়নি। এই মাদ্রাসাটি দাওরায়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রিন্সিপালতো দাওরায়ে পর্যন্ত চালাতে পারবে না। কারণ তার এই ব্যাপারে শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তবে যাকে বের করে দিয়ে তিনি দাওরায়ে কমপ্লিট করে উচ্চতর হাদিসে অধ্যয়ন করছেন। হয়ত এই ভয়েই তিনি তাকে কোন কারণ ছাড়াই বের করে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সেক্রেটারির সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কারো একার সিদ্ধান্তে মাদ্রাসা থেকে কাউকে বের করে দেয়ার কোন নিয়ম নেই। মাদ্রাসার সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন মন্ডল আরো জানান, এব্যাপারে তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে কমটি থেকে বের করে দেয়ার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এব্যাপারে কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমান মোঠোফোনে জানান, এব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না। এটা সভাপতি জানেন। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতির মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলেই ফোনটি কেটে দেন। তবে পরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।