আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট ও পথসভার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ব্যবহার করছেন প্রার্থীরা। পাড়া মহল্লায় প্রার্থীদের নির্বাচনী শ্লোগানে এক প্রকার উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তবে এবার গতানুগতিক প্রচারের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে নানা কৌশল। শ্লোগানে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া সহ মার্কা ও দলের পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে চলচিত্রের বিভিন্ন গান নির্বাচনী প্রচারে সংযুক্ত করে ও সুরে সুরে। প্রার্থীর প্রচারে যুক্ত হয়েছে ‘নির্বাচনী গান’। গানের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। এতে বিনোদন পাচ্ছেন কর্মী-ভোটার সবাই। এদিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইকের অতি উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ হচ্ছে নগরবাসী। অপরদিকে পুরোনো মাইকিং পদ্ধতির চেয়ে ভোট চাওয়ার এ পদ্ধতি এলাকার ভোটাররাও বেশ আমোদপ্রদ বলে মনে করছেন। নগর ঘুরে দেখা যায়, আগে শ্লোগান দিয়ে প্রার্থীর পক্ষে মাইকিংয়েও লেগেছে ডিজিটাল ছোঁয়া। জনপ্রিয় সব গানগুলোর সুর ঠিক রেখে কথাগুলোর জায়গায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ও গুণগান বসিয়ে শিল্পীদের দিয়ে গান রেকর্ড করানো হচ্ছে। সেই রেকর্ড সারাদিন বাজানো হচ্ছে মাইকে। আওয়ামী লীগেরর মনোনিত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী (লাঙ্গল), সতন্ত্র মেয়র প্রর্থী কামরুল হাসান রুপন,হাতপাখা প্রার্থী ফয়েজুল করীমসহ বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচরনায় নানান সুর ও বাজনায় নির্বাচনীয় গান প্রচার করতে দেখা গেছে। তবে বাজনা না থাকলেও হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ফয়েজুল করীমের প্রচারণায় রয়েছে সুরে সুরে গজল। এছাড়াও কিছু প্রার্থীকে পথ শিল্পীদের নিয়ে সরাসরি গানের মাধ্যমে প্রচারণা করতে দেখা গেছে। ভোটের প্রচারে প্রার্থীকে নিয়ে জনপ্রিয় ও পরিচিত সুরের গান তৈরি নতুন কিছু নয়। সাধারণত গ্রামে গঞ্জে পালা গানের শিল্পীরা এধরণের গান তৈরি করেন। তারা স্থানীয় মেম্বর, চেয়ারম্যান বা কোন অনুষ্ঠানের অতিথিদের নিয়ে এমন গান বাঁধেন বহু আগে থেকেই। সময়ের বিবর্তনে আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রানুষঙ্গ সেই ধারাটি অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। এখন যে কেউ চাইলেই চাহিদামতো গান তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। সেটাই এবার দেখা যাচ্ছে ঢাকা সিটির নির্বাচনী প্রচারণায়। এদিকে প্রায় দিনভর মাইকে ও মিনিট্রাকে সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে ভোটের গানের প্রচার চলছে। যা অনেক ক্ষেত্রে নগরবাসীর কাছে যন্ত্রণার করণ হয়েও দেখা দিচ্ছে। তবে সেই সংখ্যা কম। ভোটার ও প্রার্থীরা বলছেন- অনেক দিন পর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার মাঝে একটা উৎসব-উৎসাহ দেখা দিয়েছে। যা পূর্বের নির্বাচনী আমেজ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটির নির্বাচন। শেষ মূহুর্তে চলছে প্রচারণা।