ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে পেঁয়াজের দাম। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে ৯০ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে হিলি বাজার ও বন্দর ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন বন্ধের পর আবারও ভারত থেকে হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। গত দুইদিন আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৯০ টাকা কেজি, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। এদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করছেন আমদানি কারকরা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। তা বাজারে খুচরা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা ৫০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত পরশু দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি। আজ তা কিনলাম ৭০ টাকা কেজি। ক্রেতা লুৎফর রহমান বলেন, অনেকদিন পর ভারতের পেঁয়াজ কিনলাম। দাম অনেকটা কম, ৫০ টাকা কেজি। এক কেজি কিনলাম, আশা করছি আগামীতে আরও দাম কম পাবো। হিলি বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী মনিরুল আলম বলেন, গতকাল বিকেল থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তাতে দামও কমতে শুরু করেছে। ৯০ টাকার দেশি পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা কেজি। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ক্রয় করে তা পাইকারি বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি দরে। আমদানি স্বাভাবিক থাকবে এবং দামও আরও কমে যাবে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহারব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, গত ১৬ মার্চ সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বন্ধের পর গতকাল বিকেল থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল তিন গাড়িতে ৬৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এই বন্দরে প্রবেশ করে। যেহেতু এগুলো কাঁচা পণ্য তাই দ্রুততার সহিত বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো ছাড়করণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।