বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

শ্রীপুরে স্কুলের সাড়ে ৩ একর জমি বেদখলের অভিযোগ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

গাজীপুরের শ্রীপুরে বারতোপা আফসার উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সাড়ে ৩ একর সাইল ও চালা জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৭ বছর ধরে এভাবে বেদখলে থাকলেও প্রভাবশালীদের হাত থেকে জমিটুকু উদ্ধার করতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের চালা জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম ও সাইল জমি দখল করে চাষাবাদ করছে কয়েকটি পরিবার। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক মোল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর সম্পত্তি উদ্ধারের আবেদন করেছেন। জমির দখলকারীরা হলেন উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের রমজান আলী খানের ছেলে রাজীব হাসান খান শাওন, ফালু মিয়ার ছেলে আজিজ মুন্সি গং- ও মর্ডাণ এগ্রো ফার্মের সত্বাধীকারী আজম তালুকদার। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে জমির দাতা রমজান আলী খান তার বাবার নাম অনুসারে উক্ত বিদ্যালয়ের নামকরণের শর্তে ১৯৭৩ সালে ৬৪৭০ নং দানপত্র দলিলের মাধ্যমে সাড়ে তিন একর জমি তৎকালীন স্কুলের নাম বারতোপা আফসার উদ্দিন খান মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের পক্ষে পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। সেমতে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বারতোপা আফসার উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়। উক্ত দানপত্র দলিলের ভিত্তিতে ২০১০ সালে বিদ্যালয় নিজ নামে জমি নামজারি করে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি রাথুরা মৌজার আরএস খতিয়ান নং- ১৩৭৩, আরএস দাগ নং- ২৭৬৪ এ ১৭৫ শতাংশ ও আরএস দাগ নং- ২৭৯১ এ ১৭৫ শতাংশ জমির কর পরিশোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জমি দখলদার মর্ডাণ এগ্রো ফার্মের সত্বাধীকারী আজম তালুকদার বলেন, আমার ফার্মের ভেতরে বিদ্যালয়ের জমি আছে কীনা এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ এ পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি। স্কুলের নামে কাগজপত্র দেখাতে পারলে জমি ছেড়ে দেব। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক মোল্লা জানান, বেদখলে থাকা চালা জমিতে একসময় স্কুলের টিন শেড ছাত্রাবাস ছিল। ঝড়ে ভেঙে যাওয়ার কারণে তৎকালীন কমিটি অর্থের অভাবে সেটি মেরামত করতে পারেনি। এই সুযোগে উক্ত সম্পত্তি ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে নেয়। এখন বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আমরা ওই জমিতে ছাত্রাবাস অডিটোরিয়াম ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করতে চাই। অবৈধ দখলদারদের আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে। আমি ইতোমধ্যে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের কাজ শুরু করেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন জানান, স্কুলটির নামে এতো জমি আছে তা জানা ছিল না। এখন জেনেছি। জমি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মাক সহযোগিতা করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার নিকট আবেদন করলে সরেজমিনে গিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com