ময়মনসিংহের ভালুকায় টিনের বেড়া দিয়ে এক প্রবাসির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনটি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কলেজ পাড়ায় মহাসড়কের পাশে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর বিবাদী পক্ষ দখলিয় জমিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মামলা ও স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ভান্ডাব গ্রামের মকবুল হোসেন পাঠানের কাছ থেকে ভান্ডাব মৌজায় সাবেক ১২৭১ দাগে ও বিআরএস ১০২৫ নম্বর খতিয়ানের ৮৪৬৪ নম্বর হাল দাগে ৩৩ বছর আগে উপজেলার মেঞ্জেনা গ্রামের আব্দুল খালেক মাষ্টারের ছেলে কানাডা প্রবাসি মাহবুবুল আলম ফরহাদ (১০২৭৩ নম্বর দলিলমূলে) ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি কিনার পর নামজারি ও জমাখারিজ (নম্বর-১০৭৭) করে তিনি ভোগদখলেই ছিলেন। সম্প্রতি ওই জমি স্থানীয় প্রভাবশালী সুলতান মিয়া ও মুশফিকুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি টিনের বেড়া দিয়ে ও স্থাপনা নির্মাণ করে জবরদখলে নেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার সালিশ হলেও কোন ফয়সালা হয়নি। গত ২৬ এপ্রিল মাহবুবুল আলম ফরহাদ বাদি হয়ে সুলতান মিয়া ও মুশফিকুর রহমানকে বিবাদী করে ময়মনসিংহের ভালুকা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৬০/২৩ অন্যপ্রকার মামলা দায়ের করেন। জমির মালিক মাহবুবুল আলম ফরহাদ জানান, সুলতান মিয়া ও মুশফিকুর রহমান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় একাধিকবার সালিশ করেও কোন ফয়সালা না হওয়ায় তিনি জমি উদ্ধারের লক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে সুলতান মিয়া তার জমির একাংশে ইটের স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং মামলা দায়েরের সংবাদ পাওয়ার পর বিবাদী মুশফিকুর রহমান টিনের বেড়া দিয়ে ভেতরে পুরোদমে নির্মাণকাজ চালিয়ে যচ্ছেন। প্রতিপক্ষ মুশফিকুর রহমান জানান, সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ২১ শতাংশ জমি কিনেছেন। ফরহাদ মকবুল পাঠানের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। তাই মামলায় তাকে বিবাদী করার কোন কারণ দেখছেন না। সুলতান মিয়া জানান, তিনিও সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি কিনেছেন। মামলার বাদির সাথে জমি নিয়ে কোন বিরোধ নেই।