বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফয়জুল করিমের গাড়ি ভাঙচুর ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীদের মারধর করে নৌকার ব্যাজধারী নেতাকর্মীরা। মুফতি ফয়জুল করীম নিজেই সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি। ফয়জুল করিম বলেন, নৌকার কর্মীদের হামলার অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যাই। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়ে বের হয়ে ২২নং সাবেরা খাতুন স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখি, নৌকার ব্যাজধারী কর্মীরা ভিড় করছে। প্রিজাইজিং অফিসারকে এ কথা জিজ্ঞেস করতেই- আমার ওপর হামলা করে নৌকার কর্মীরা। তারা আমাকে কিলঘুষি মারে। এতে আমার ঠোঁট ফেটে যায়। তিনি বলেন, রক্ত যখন ঝরিয়েছি তাই শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত মাঠে থাকব। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে মাঠ থেকে বিদায় হবো।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সেলের সদস্য কেএম শরিয়তুল্লাহ অভিযোগ করেন, ২নং ওয়ার্ডের কাদের চৌধুরী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখার কর্মীদের মারধরের অভিযোগের খবর পেয়ে প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম উপস্থিত হলে তার গাড়িতে ভাঙচুর ও সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায় নৌকার কর্মীরা। এছাড়া ২নং ওয়ার্ডের শেরেবাংলা দিবা-নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের গাফিলতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তদন্ত করে কোন পুলিশ সদস্যের গাফিলতি থাকলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।