উন্নয়নের সরকার বরাবরই মুক্তি যোদ্ধাদের সন্মানে বিশ্বাসী। আর সেই কারণে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বত্র জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর তাঁরই বদৌলতে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি সন্মান জানাতে ভুল করেননি জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রধান। আর সেই ধারাবাহিকতা স্বরূপ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ভুল করেননি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের পরিবারের প্রতি। গুয়ারেখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার আকর্ষিক ভাবে মৃত্যু বরন করেন চলতি বছর। তার মৃত্যুতে সমগ্র গুয়ারেখাবাসীরা সহ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ দারুণ ভাবে মর্মাহত। দলমত নির্বিশেষে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের প্রতি গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হয় দারুণ ভাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। স্বরূপকাঠি সহ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি। প্রতিদান স্বরূপ উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দও বেশ তৎপর ছিলেন। সন্মান স্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত চেয়ারম্যান আঃ রব সিকদারের পুত্র বধুকে নৌকার টিকেট প্রদান করেন। স্থানীয় রাজনীতির সূত্র অনুযায়ী, গুয়ারেখা ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বৈঠক সম্পন্ন হয়। বৈঠকে সাবেক চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুরের প্রতি চরম অনিহা প্রকাশ করেন। স্থানীয় গুয়ারেখা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বেশীরভাগ তৃণমূল নেতারা চরম বিরোধিতা করে। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে ইউনিয়নবাসী চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বিগত পনেরো বছরে। আর সেই কারণে গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা গত নির্বাচনে দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছে ভোটের মাধ্যমে। গত নির্বাচনে নৌকার টিকেট পাওয়া সত্বেও বাবু শুভ্রত ঠাকুর পরাজিত হয়।সাধারণ মানুষের মধ্যে দারুণ ক্ষোভের জন্ম থেকেই চরম পরাজয় নিশ্চিত হয়। অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার ছিলেন সতন্ত্র প্রার্থী। গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে নৌকার টিকেট পাওয়া হেভিওয়েট প্রার্থী বাবু শুভ্রত ঠাকুরকে পরাজিত করা চাট্টিখানি কথা নয়। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শূন্য পদের জন্য নৌকার কান্ডারী সিলেক্ট করেন। অথচ আজ স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নের রূপকারও বলা যায় নিঃসন্দেহে প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশীরভাগ লোকজন স্বল্প সময়ের মধ্যে আপন করে নেয় প্রয়াত চেয়ারম্যান রব সিকদারকে।গত ১৫ বছরের তুলনায় মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী সাদা মনের মানুষ শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছিলেন। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার চেয়ারম্যান হিসেবে বেঁচে নেই। কিন্তু তার কাজকর্ম দিয়ে বেঁচে আছেন সমগ্র গুয়ারেখা ইউনিয়ন বাসীর অন্তরের অন্তস্তলে। হিন্দু কিংবা মুসলিম ভোটারদের কাছে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা চমৎকার অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর সেই কারণে মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের প্রতি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আস্থা রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার নৌকার কান্ডারীকে পরাজিত করে প্রমাণ করেছেন,” বয়স বড়ো নয়,বরং কর্মদক্ষতাই আসল পরিচয় “। আর সেই কারণে মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের প্রতি সন্মান স্বরূপ নৌকার টিকেট প্রদান করেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চমক স্বরূপ সাবেক ছাত্র লীগের নেত্রী, প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের পুত্র বঁধু ফারজানা আক্তার দিবাকে নৌকার টিকেট প্রদান করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করার গুরুত্বপূর্ণ মিশন নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী নেতৃত্বকে আরও বেগবান করার নিমিত্তে কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সময় উপযোগী চিন্তা ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সাধারণ ভোটাররাও বেজায় খুশি, প্রয়াত চেয়ারম্যানের পুত্র বঁধুকে নৌকার টিকেট দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরাও বেজায় খুশি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার নেই কিন্তু তার ছায়া আছে ছাত্র লীগের নেত্রী, মেধাবী ছাত্রী চেয়ারম্যানের পুত্র বঁধু ফারজানা আক্তার দিবার মধ্যে। তবে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আওয়ামী লীগের একটা অংশ চরম বিরোধিতা করবে নৌকার বিরুদ্ধে। বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করে ছিল। আর এবারও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সেই চক্র নৌকার বিরোধিতা করবে কিন্তু। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কথা হয় মেধাবী ছাত্র লীগের রাজনৈতিক নারী নেত্রী নৌকার টিকেট পাওয়া কান্ডারী ফারজানা আক্তার দিবার সাথে। তিনি অকপটে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমার শশুর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ছিলেন গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আজ আমার পিতা সুন্দর ধরণীর বুকে নেই। তার কাজকর্ম গুলো রেখে গেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। আমি ছাত্র লীগের নারী নেত্রী হিসেবে প্রথমেই ধন্যবাদ দেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপাকে। মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি কে ধন্যবাদ দেই। ধন্যবাদ দেই জেলা ও উপজেলার সকল শীর্ষ নেতাদের। মহান আল্লাহ সহায় হোক সকলের জন্য। মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাকে নৌকার টিকেট দিয়েছেন। আমি সকলের আর্শীবাদ নিয়ে নৌকার নিয়ে বিজয়ী হতে চাই। আমি দলমত নির্বিশেষে সকলের ভালবাসা চাই। নৌকা প্রতিক আপনাদের আর আমি খাদেম হয় নৌকার সন্মান বজায় রাখবো উন্নয়ন করার মাধ্যমে।