চরফ্যাশন উপজেলায় কোরবানির জন্য বিভিন্ন জাতের দেশীয় প্রায় ১৪ হাজার ২৩১টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১৩হাজার ৮০০শ’। চাহিদা চেয়ে প্রায় বেশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. রহমত উল্লাহ আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার চরফ্যাশন সদর গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় সব ধরণের গরুই চাহিদা রয়েছে। ক্রেতা –বিক্রেতাদের মধ্যে আগের বছরের তুলনা এবছর বেশি দর কষাকাষি চলছে। কারণ আগের চেয়ে গরুর দাম বেশি বেড়েছে। তবে চরফ্যাশন উপজেলা দেশী গরু মাঠে সবুজ ঘাস লতাপাতা খেয়েই প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠছে। দেশী জাতের গরু পালনে কৃষকের অতিরিক্ত খরচ না থাকলেও দাম হাকাচ্ছে বেশি। বলা চলে স্বল্প খরচে অধিক লাভবানও হয় চাষীরা। ক্রেতা সাংবাদিক আমির হোসেন বলেন, আমাদের উপজেলা সব দেশী গরু, কিন্তু দাম হাকাচ্ছে অধিক। যে গরু বিগত বছর দাম ছিল ৭০/৮০হাজার। এবছর ওই গরুর দাম ৯০/১লাখ টাকা। সব জিনিসের দামই উর্ধগতি। তাই দাম বাড়া নিয়ে যেমন একটা চিন্তু করছি না। চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে সম্প্রতি ৮’শ ৯০টির বেশি খামারে চার’শ ৯৫ জন খামারি গরু মোটাতাজা করণসহ গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছে। এই উপজেলা কোরবানির জন্য ১৪ হাজার ২৩১টি উপযুক্ত পশু প্রস্তুত রাখা হয়। এখানকার চাহিদা ১৩ হাজার ৮০০পশু। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪৩১টি গবাদিপশু বেশি।এরমধ্যে জাতভেদে গরুর সংখ্যা ৬ হাজার ১১৫টি, মহিষ ৩০০টি এবং ছাগল ২ হাজার ১১৫ টি ও ভেড়া ১ হাজার ১১টি। খামারীরা বলছেন, চাহিদার তুলনা কমপক্ষে এই উপজেলা ৫/৭হাজার গরু-মহিষ,ছাগল রয়েছে। গরু ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মিয়া, নুরুল ইসলাম সাজি জানান, এ উপজেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গৃহস্থ ও খামারিরা গরু প্রস্তত রেখেছেন। স্থানীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ উপজেলায় গরু প্রবেশ না করলে এবার গরুর ভাল দাম পাবেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. রহমত উল্লাহ বলেন,প্রকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা দেশীজাতের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। এ উপজেলায় পর্যাপ্ত কোরবানির জন্য দেশিও গরু রয়েছে। তা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবে গৃহস্থ ও খামারিরা। এসব গুরু উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে হতে মোটাতাজাকরণে যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন সেজন্য মেডিকেল টিমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে।