নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘ভোটের মাঠে উত্তেজনা থাকেই। সারাজীবনে উত্তেজনা ছাড়া ভোট হতে দেখিনি। উত্তেজনার মধ্যেই সব কাজ করতে হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসে তা মোকাবিলা করতে হবে। অধৈর্য হলে চলবে না।’
গতকাল শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থীর নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। ১০০’র বেশি কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। তারাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনবেন। নির্বাচন কমিশন চায় বাধাহীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। তবে কেউ ভোটারদের বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহানগরী ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন লিখিত এমন একাধিক অভিযোগের পরও রির্টানিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অ্যাপ্রিহেনশন। এটা ঘটে গেছে বা ঘটবেই এরকম কিছু না। ভোটের মাঠে এরকম অ্যাপ্রিহেনশন থাকেই। কাজেই অধৈর্য হওয়ার কিছুই নেই। আর ভোটের মধ্যে এরকম উত্তেজনা তো থাকেই। ভোটে উত্তেজনা নেই-এরকম তো আমি আমার লম্বা জীবনে দেখিনি। উত্তেজনার মধ্যেই সব কাজ করতে হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তা মোকাবিলা করতে হবে।’
সভায় প্রিজাইডিং অফিসারদের সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলাসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম, জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।