প্রতিক বরাদ্দ হয়নি কিন্তু নৌকার টিকেট পূর্বেই বরাদ্দ হয়েছে। অর্থাৎ সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান আঃ রব সিকদারের পুত্র বঁধু নৌকার টিকেট মানেই নির্বাচনের প্রতিক। অবশ্য কোরবানির ঈদের আগেই অর্থাৎ আগামী ২৬/০৬/২৩ তারিখ স্ব স্ব প্রার্থীরা প্রতিক পাবেন বলে নির্বাচন সূত্রে জানা যায় । এদিকে আগামী মাসের ১৭/০৭/২৩ গুয়ারেখা ইউনিয়নের শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এরিমধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে। গুয়ারেখা, পাটিকেলবাড়ী, ব্যাসকাঠী, বিশাল, রোগাকাঠী, রাখাতলা, গাববাড়ী, বাটনাতলা, চাঁদকাঠী, রুদ্রপুর, দেবুদাসকাঠী, গাজিয়া, কালিবাডী, বরতকাঠী ও জামিরতলায় ছোট ছোট চায়ের দোকানে আলোচনার ঝড় বইছে। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু, রব সিকদারের পুত্র বঁধু নৌকার টিকেট পাওয়া। পাশাপাশি ইউনিয়নের মধ্যে বহু যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও অপরিচিতকে নৌকার টিকেট প্রদান করা।গত নির্বাচনে সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। সেই সময়ে নৌকার সমর্থকদের মারপিটও দিয়েছেন। কিন্তু গত সপ্তাহে সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে নানান প্রশ্ন বিভিন্ন ভোটারদের। কৌশল অবলম্বন করে জেলার ও স্থানীয় সাংবাদিকরা সকল প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। অবশ্য আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু থেকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী ১৭ জুলাইর নির্বাচন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের লোকজনরা। বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও সহমত পোষণ করেন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে। বর্তমান ভোটাররা খুবই সচেতন এবং দারুণ মুন্সীয়ানার পরিচয় দেন পাল্টা মিডিয়ার সকল প্রশ্নের। আলোচনার এক পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলে মনে করেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দরকার। বড় দুটো দলের নৌকা কিংবা ধানের শীষের প্রতিক নিয়ে আসা হয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে। অথচ বহু যোগ্য প্রার্থী ছিটকে পড়ে দলের ও অর্থের কারনে।বর সেই রকমই ঘটনার জন্ম দেয় গুয়ারেখা ইউনিয়নের উপ নির্বাচনে। নৌকার টিকেট পাওয়া প্রার্থী যথাযথ ভাবে যোগ্য মনে হয়নি বলেই আজ ০৯ জন প্রার্থী এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নারী প্রার্থী সহ ০৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। শান্তা রানী সুতার সহ গাজী মিজানুর রহমান মিজান, মোঃ মাহবুব আহসান, গাজী মোঃ হুমায়ুন কবীর (আলতাফ), মোঃ বাবুল শেখ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, এস এম রাশেদুল হাসান ও মোঃ রফিকুল ইসলাম। একজন জনপ্রতিনিধির মৃত্যুর পর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচন হবে একই তারিখে। আর সেই ওয়ার্ডের মধ্যে প্রার্থী মোঃ আমিরুল ইসলাম, মোঃ সাইদুল ইসলাম ও এম এম হাসানুর রহমান সদস্য পদে প্রার্থী। আগামী ১৭ জুলাই ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের চাপা ক্ষোভও। বিগত সময়ের ক্ষতের কথা মনে রেখে কেহ কেহ ছক তৈরি করে সুকৌশলে পথ হাঁটছে। অবশ্য সকল হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে পারে একমাত্র যোগ্য প্রার্থীর বদৌলতে। যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে ইতিমধ্যে সকল মানুষের অন্তরের অন্তস্তলে বাসা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছেন আলোচিত এবং মানবতার ফেরিওয়ালা গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান। বিগত সময়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে আদর্শের পাত্র হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে গাজী মিজানের। পাটিকেলবাড়ীর সন্তান হিসেবে নয় বরং সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে একটা দারুণ গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকলে সহমত পোষণ করেন। আওয়ামী লীগের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ (নাম না প্রকাশের শর্তে) গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন আমাদের গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে একজন চমৎকার মানুষ গাজী মিজানুর রহমান মিজান। হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু দাদা বাবুরাও সহমত পোষণ করেন যোগ্য প্রার্থী নিয়ে। তারা অকপটে বলেন, আমরা নৌকা কিংবা অন্য প্রতিক চিনিনা”। আমরা মন থেকে যোগ্য প্রার্থী চাই। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হলে যোগ্য প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান মিজানের বিজয় নিশ্চিত। এব্যাপারে সাবেক দুই চেয়ারম্যান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন আমাদের ইউনিয়নে শূন্য আসনে যোগ্য প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান মিজান। আস, সাধারণ ভোটাররা চায়, এলাকার উন্নয়ন আর উন্নয়ন। আর সেই কারণে গুয়ারেখা ইউনিয়নের শূন্য আসনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে গাজী মিজানুর রহমান মিজান সময়ের সেরা ও শতভাগ যোগ্য প্রার্থী। এদিকে এলাকার বেশীরভাগ জনপ্রতিও মিজান গাজীর পক্ষে অবস্থান করেন।কান হিসেবে বলেন, এলাকার বেশীরভাগ বেকার শিক্ষিত বেকার ছেলেদের চাকুরী দিয়েছেন। তাছাড়া গাজী মিজানুর রহমান মিজান একজন চমৎকার মানুষ ও দারুণ ধার্মিক লোক।ধর্ম কর্মের জন্য বহ মসজিদের উন্নয়ন করেছেন।এ ব্যাপারে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান মিজানের সাথে। তিনি অকপটে বলেন, আমি কাউকেই অবহেলা করিনা। মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকবো ইনশাআল্লাহ। এলাকার লোকজনের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি সদা প্রস্তুত। জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করে দেওযাই আমাদের সকলের কাজ। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হোক। আগামী ১৭ জুলাই গণ মানুষের বিজয় হোক। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার বেশীরভাগ ভোটাররা চায় যোগ্য প্রার্থীর যোগ্য পুরস্কার। আর সেই যোগ্য প্রার্থী গুয়ারেখা ইউনিয়নের সকলের প্রিয়, দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের আদর্শের সৈনিক গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান। নৌকা কিংবা অন্য প্রতিক নয়, ভোটারদের একমাত্র চাওয়া যোগ্য প্রার্থীর বিজয়।