তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ৭০ শতাংশ আর্থিক লেনদেন হবে ক্যাশলেস।
তিনি গতকাল সোমবার নাটোরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাশলেস লেনদেন দুর্নীতি রোধ, সন্ত্রাস নির্মূল এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সরকারি দপ্তরগুলোতে পেপারলেস এবং বক্সলেস ই-টেন্ডারের ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে, টেন্ডার বক্সে প্রভাব খাটানো, ভয়ভীতি প্রদান এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে না।
তিনি বলেন, কুরবানীর পশু বিক্রয়সহ যে কোন ব্যবসায়ের লেনদেনে ক্যাশলেন পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বিভাগীয় কার্যক্রমে ক্যাশলেস লেনদেনের অগ্রগতি এবং লক্ষ্য নিয়ে বক্তৃতা দেন।
পলক বলেন, ১৪ বছর আগে দেশে স্মার্ট ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৫৬ লাখ। বর্তমানে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সংযুক্তির মধ্যে আছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষের আর্থিক লেনদেনকে সহজ ও সুন্দর করতে ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি আমরা। এই লক্ষ্যে আন্ত:আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনের কেন্দ্রবিন্দু হবে ‘বিনিময়’। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা পেশাজীবীদের ক্যাশলেস লেনদেনের ফলে ঐ ব্যক্তির লেনদেন রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি ব্যবহার করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনায়াসে ঋণ সুবিধা পেয়ে যাবেন। এর ফলে ব্যবসায় গতিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
পলক আরো বলেন, স্মার্ট ডিভাইস সহজলভ্য করতে সরকার দেশে উৎপাদনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। ক্যাশলেস লেনদেনের সম্প্রসারণ ঘটাতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ক্যাশলেস ভিশন বাস্তবায়নে টাইমফ্রেমসহ একশান প্লান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই রোড ম্যাপ অনুযায়ী সকল দপ্তর কাজ করবে।