জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ আজমল হোসেন বিদ্যুৎ গড়লেন অনন্য এক রেকর্ড। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি বিদেশের কোনো ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। থিম্পু রাভেন এফসির দায়িত্ব নিতে বিদুৎ রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে ভুটান গেছেন। থিম্পু রাভেন এফসি ভুটান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব।
জানা গেছে, মাসে ৫০ হাজার রুপি বেতনে বিদ্যুৎ ভুটানের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে বেতনের চেয়ে বিদেশের কোনো ক্লাবের প্রধান কোচ হওয়াটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দরের এই ফুটবলার।
তার বাবা-মায়ের দেওয়া নাম ছিল বিদু। নারায়ণগঞ্জের প্রয়াত কোচ মোসলেহ উদ্দিন খন্দকার বিদ্যুৎ তাকে নতুনভাবে ‘বিদ্যুৎ’ নাম দিয়েছিলেন। আজমল হোসেন তাই ফুটবল অঙ্গনে বিদ্যুৎ নামেই পরিচিত। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে পাইওনিয়ার লিগের ক্লাব মাতুয়াইল উদয়ন সংঘের জার্সিতে ঢাকার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বিদ্যুতের। ১৯৯৬ সালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে নাম লিখিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ শুরু তার। এরপর ফরাশগঞ্জ, আবাহনী, আরামবাগ, মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন।
২০০৭ সালে প্রফেশনাল ফুটবল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চালু হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন। ২০১৬ সালে ফেনী সকার ক্লাবের হয়ে শেষবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন। ২০১৭ সালে প্রথম বিভাগের দল স্বাধীনতা ক্রীড়া চক্রে কোচ কাম খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন। এরপর কোচিং লাইসেন্স করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সহকারী কোচ হিসেবেও ছিলেন সাবেক এ মিডফিল্ডার। আজমল হোসেন বিদ্যুৎ ১৯৯৬ সালে এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৬ কোয়ালিফাইংয়ের দলে সুযোগ পেয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। ওই টুর্নামেন্ট খেলেই পড়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কর্মকর্তাদের নজরে। ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের জন্য ২০০৪ সালে তিনি জাতীয় দলে খেলেছেন।