উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা ও ভাঙ্গনের কারনে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। বন্যার কারনে ফসল তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে। এবং হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে বাস ভাসিরা। বুধবার সন্ধা হতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২দশমিক ৩২সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (পাউবো)। বন্যার কারনে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজার, একতার বাজার, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্বছাতনাই, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা ভেন্ডাবাড়ী ও সাতুনামা, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া মৌজার তিস্তার চর এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ী গ্রামসহ বেশকিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি বৃদ্ধির কারনে নদী বেষ্টি এলাকায় বেশকিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে বুধবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় পর্যন্ত বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার) ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তিস্তা নদীর পনি বৃদ্ধির কারনে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখা হচ্ছে। এবং সরকারের পক্ষে আমরা সব সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।