বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
১৫তম জাতীয় সিনিয়র ক্লাব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় শাম্মী সুলতানার তিনটি অনন্য রেকর্ড জনপ্রশাসন সংস্কারে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন যেভাবে প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়–য়ার রেক্টর পদে যোগদান উপলক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা হাসিনার মতো ’৭১ সালে শেখ মুজিবও পালিয়ে ছিলেন: মির্জা ফখরুল মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা বজ্রপাতে মাঠেই মারা গেলেন ফুটবলার মার্কিন নির্বাচন : কার জয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? ৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

বগুড়ায় অমৌসুমের তরমুজ চাষ করে গফফারের স্বপ্ন পুরনের আশা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

জেলার নন্দীগ্রামে ৫০শতক জায়গায় অমৌসুমের তরমুজ চাষ করে গফফারের ভাগ্যবদলে গিয়েছে। তার চোখে মুখে দেখা দিয়েছে স্বপ্ন পুরনের আশা। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়ার আলহাজ আয়েত আলী ছেলে গফফার। গফফার লেখা পড়া জীবন শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে, ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। পরিকল্পনা করেন কৃষি বিপ্লব ঘটানোর। তাই বাড়িতে বসে না থেকে ২০২০ সালে তৃপ্তি ও ব্লাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে লাভের মধ্য দিয়ে শুরু করেন তার কৃষক জীবন।
কৃষিকে আরো ভাল করে জানার জন্য ২০২২ সালে শুরুতে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং নিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ শতক জমিতে টমেটো, ৩০ শতকে মরিচ এবং ৩৩ শতক জমিতে কপি চাষ করে বাজারে বিক্রির মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখেন গফফার। এরপর ঝুঁকি নেনে অমৌসুমে তরমুজ চাষে।
ছুটে যান বগুড়া বীজ উৎসব বীজ ভান্ডারে, সেখান থেকে প্রায় ২৫শ’ চারা ক্রয় করে মালচিং পদ্ধতিতে ৫০ শতক জায়গার উপর ২০২৩ সালের মে মাসের ২২ তারিখে বীজ বপন করেন। এই অমৌসুমে তরমুজ চাষে ৫০ শতক জমির উপর এ প্রর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বীজ বপনের ৬০থেকে ৬৫ দিনের মধ্য ফল সংগ্রহ করা যায়।
মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাথায় গামছা বেঁধে অমৌসুমে তরমুজের জমিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন, বাবা ও ছেলে। গফফার তার ৫০ শতক জমিতে মধুমালা, তৃপ্তি, ব্লাক কিং, ব্লাক বেবীসহ ৪টি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ কৃষক গফফারের সঙ্গে কথা বললে- তিনি জানান, আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে ২৫শ’ তরমুজের বীজ ক্রয় করে ৫০ শতক জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী মালচিং পদ্ধতিতে বীজ বপন করেছিলাম। ইতোমধ্যই গাছে ফল ধরে পাকতে শুরু করেছে আর ১সপ্তাহ পর ফল সংগ্রহ করতে পারবো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবং বাজারে ফলের দাম ভালো পেলে ২/৩ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান, অমৌসুমে তরমুজ ব্যাপক লাভজনক একটি ফসল, এই তরমুজ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এই উপজেলার অনেকেই ঝুঁকছেন এই তরমুজ চাষে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com