রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কলমাকান্দায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার-৫ চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ ও মসজিদের বাথ রুমে মুসল্লীর লাশ সহ ৪ খুন : খুনিসহ আটক ৩ মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থাকায় সংবাদ সম্মেলন পাঁচবিবিতে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ ফটিকছড়িতে আকষ্মিক সফরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সদরপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গলাচিপায় তারুণ্যে উৎসবে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা

কুমিল্লায় ড্রাগন ফল চাষে ভাগ্য বদল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

একসময় শুধু ধান-পাট ও দেশি ফল চাষ করেই জীবনযাপন করতেন গ্রামের মানুষ, কিন্তু সময় পাল্টেছে এখন। হাঁটছে মানুষ ভিন্ন পথে। মানুষ এখন দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফল উৎপাদনে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। তারা বাড়ির পাশেই গড়ে তুলছেন বিদেশি ফলের বাগান। সে ধারাবাহিকতায় ড্রাগন এখন পরিচিত ফল হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গ্রাম বাংলায়।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার একটি গ্রাম হারং। ওই গ্রামের মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পিঙ্করোজ, রেড বেল ও হোয়াইট ড্রাগন। দুই বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ করেন কামাল হোসেন সরকার দুলাল। ২০২২ সালে তিনি চারা লাগান। তার জমির লিজসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। এক বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। তিনি লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তার আশা আগামী বছর পুঁজি উঠে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারির সঙ্গে স্থানীয় ক্রেতাও এসেছেন। দুলাল বলেন, ইউটিউবে দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কাজ শুরু করেন। চাষ করতে করতে অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আশা করছেন আগামীতে আরও বেশি ফলন পাবেন। তাকে দেখে অন্যরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তিনি চারাও বিক্রি করেন। ক্রেতারা বাগান থেকেই ফল সংগ্রহ করেন। তাঁর দাবি, তিনি বিষমুক্ত উপায়ে ফল চাষ করেন। ফল জমিতে পাকার পর সংগ্রহ করেন। তাই স্বাদ, রং ও ঘ্রাণ চমৎকার।
স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বাসসকে বলেন, দুলাল আমাদের কাছে ড্রাগন ফল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিই। সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে ফল উৎপাদন করবেন। তাঁর সাফল্য আমাদের উৎসাহী করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল বলেন, এ ফলটি উচ্চমানের ভিটামিন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ফ্রিজিং ছাড়া স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এক সপ্তাহ রাখা যায়। এটি বিদেশি ফল হলেও দেশে ব্যাপক চাষ হচ্ছে। দিন দিন কুমিল্লায়ও এ ফলের আবাদ বাড়ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com