রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১০ টাকায় টিকিট কেটে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে যান সরকারপ্রধান। তিনি নিয়মিত এ হাসপাতাল থেকে চোখের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চোখ পরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন এবং এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সাথে তিনি কথা বলেন, তাদের কাছে দোয়া চান এবং তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও দোয়া করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি সেখানে পৌঁছার পর চক্ষুবিশেষজ্ঞ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

মায়ের কাছে ফিরতে চায় রাব্বি, দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী: জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানটিনে কাজ করা শিশু রাব্বির (১১) দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে চোখের চিকিৎসা শেষে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় রাব্বির দিকে নজর পড়ে তার। পরে রাব্বির সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং তার সব সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও ছবি তোলেন। এ সময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রাব্বির দিকে দৃষ্টি পড়ে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি রাব্বির কাছে এগিয়ে যান। পরম মমতায় তাকে আদর করেন। প্রধানমন্ত্রী শিশু রাব্বির কাছে জানতে চান সে কী করে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে। উত্তরে ১১ বছর বয়সী রাব্বি জানায়, সে চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যানটিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন তার সৎবাবা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে চাঁদপুর জেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করেন। রাব্বি আরও জানায়, ক্যানটিনে কাজ নেওয়ার আগে সে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। সে প্রধানমন্ত্রীকে জানায় চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চায়। আবার পড়াশোনা করতে চায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। তিনি রাব্বিকে সান্ত¡না দেন এবং তার পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক দায়িত্ব নেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com