মোংলায় ঘর ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসহায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বাড়ির মালিক। প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দার ২০০০ সালে পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়ক এলাকায় ১৫.৫০ শতক জমি কিনে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০০৩ সালে ঘরের কিছু অংশ মাসিক ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভাড়া চুক্তিতে স্থানীয় মো: মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেন। প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারের রয়েছেন ১৩ সন্তান। প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারকে হত্যা করে পশুর নদীতে ফেলে দিবে বলে শাষিয়েছিলো মিজানুর। এরপর থেকে প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারকে খুজে পাওয়া যায়নি। মিজানুর রহমান গং মিলে মোতালেব জোমাদ্দারকে গুম করে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মোতালেব জোমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানা। রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১০ টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সম্মেলনে এমনই অভিযোগ তুলে মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সাইফুর রহমান সাব্বিরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বাড়ি ভাড়া দিচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। কিন্তু পরে বিভিন্ন তাল বাহানায় ঘর ভাড়া পরিশোধ না করার জন্য ফন্দি করেন মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান বানোয়াট কাগজপত্র তৈরি করে জমি তাঁর জমি হিসেবে দাবি করে বিজ্ঞ মোংলা সহকারি জজ আদালতে দে: ৫৭/১৯ মোংলা দায়ের করেন। মিজানুর রহমানের মৃত্যু হলে তার ছেলে সাইফুর রহমান সাব্বির মামলাটি পরিচালনা করে। ভাড়াটিয়া বানোয়াট কাগজপত্র তৈরী করে একের পর এক হয়রানি করে তাদের সর্বশান্ত করেছে। যার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন তিনি। বাড়ি জবরদখলের বিষয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মতিউর রহমান রানা। গত বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে তার বড় বোন মাসুদা বেগমসহ তারা তাদের নিজ বাড়িতে সাব্বিরের কাছে ভাড়ার টাকা দাবী করে ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তাদের মারধর করেন ভাড়াটিয়া সাব্বির গং। এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি এজাহার করলেও এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা পাননি বলেও অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানা। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন বলেন, মামলা নেওয়ার মতো বিষয় হলে আমরা অবশ্যই মামলা নিবো। পুলিশ কোন জমি দখল করে দেয়না।