শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

মেডিক্যালে লেখাপড়া করে কেন প্রশাসনে বা পুলিশে, ক্ষোভ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

মেডিক্যাল নিয়ে লেখাপড়া করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসন বা পুলিশ ক্যাডারে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যে পেশায় এত বছর পড়ালেখা করে চিকিৎসক হয়, সেখান থেকে অন্য পেশায় চলে গেলে চিকিৎসা নিয়ে পড়ালেখা করার প্রয়োজন তো ছিল না।
গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া নবাগত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি মেডিক্যালে একজন শিক্ষার্থীর এমবিবিএস সম্পন্ন করাতে সরকারের কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। এগুলো জনগণের ট্যাক্সের টাকা। জনগণ শিক্ষার্থীদের মেডিক্যাল পড়ার খরচ বহন করে ভবিষ্যতে তারা চিকিৎসক হয়ে জনগণের চিকিৎসা দেবে সেজন্য। কিন্তু তারা সেটা না করে বিসিএস দিয়ে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারে চলে গেলে জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে গেছে। শেখ হাসিনার সময়োপযোগী প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশের সর্বত্র এখন নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে। মহান জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে, পুলিশ বলেন, কোর্ট কাচারি বলেন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য বলেন সবখানেই নারীরা এখন এগিয়ে এসেছে। এ বছর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিকৃত ২৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই নারী। বাকি ১১০ জন ছেলে। কিছুদিন আগে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ হাজার জনই নারী, পুরুষ ৪ হাজার।
তিনি বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় নারীরা এগিয়ে থাকছে। নারীরা ব্যবসা করে পরিবার চালাচ্ছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে। এগুলো এমনি এমনি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় স্বপ্নের মধ্যে নারীর ক্ষমতায়নও অন্যতম একটি। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশে নারীরা এখন পুরুষের সঙ্গে সমান ভূমিকা রেখে চলেছে, বাংলাদেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com