বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
গলাচিপা জাতীয় ইদুঁর নিধন অভিযান র‌্যালি সহ উদ্বোধন জামালপুর জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য স্যানিটেশন উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩৫০ কোটি টাকার কাজ দৃশ্যমান লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী বাইট্টা কাশেম আটক কেরানীগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় কৃষি জমিতে হামলায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন, সংবাদ সম্মেলন হোসেনপুরের যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ কলেজ ছাত্রী দীপার ভবিষ্যত অনিশ্চিত: ন্যায় বিচার দাবি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাতক্ষীরায় ছেলে ও তার স্ত্রীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েও মামলা করতে চাননা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা কেরানীগঞ্জে রতঘরিয়া ইউনিয়নে কর্মীসভা শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও শাহরিয়ারের নামে পাঠাগার ফলজ বনজ-বাগানের সাথী ফসল হলুদ চাষের মডেল কৃষানী নাসরিন

মাগুরায় উচ্চফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

জেলায় প্রথম বারের মত উচ্চফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ করেছেন সদর উপজেলা হাজিপুর ইউনিয়নের নড়িহাটি গ্রামের বিকাশ কুমার ধর নামে এক কৃষক। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ জাতের কলা চাষে ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। বাণিজ্যিকভিত্তিতে এ জাতের কলা চাষ কৃষক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা গেলে ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, টিস্যু কালচারের মাধ্যেমে উৎপাদিত জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলার চারা হয় সম্পূর্ণ রোগ মুক্ত। এ জাতের কলার ফলন বেশি, সুস্বাধু । তাই এ জাতের কলা চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। সাধারণ জাতের কলায় যেখানে কাধিতে ৬০ থেকে ১২০টি কলা পাওয়া যায়, সেখানে উচ্চফলনশীল এ জাতের কলায় এক কাধি থেকে ২২০ থেকে ২৪০টি বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি ফলন পাওয়া য়ায়। শুরুতে এটি দেখতে সবুজ হলেও পাকার পর হলুদ রংয়ের হয়। যা দেখতে সাগর কলার মত। এটি বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়।
সরেজমিন নড়িহাটি গ্রামে গিয়ে কথা হয় বিকাশ কুমার ধরের সাথে। তিনি সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কৃষি কাজের সাথেও জড়িত । তিনি জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ করেছেন। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ চারা তিনি সংগ্রহ করেন গাজীপুর জেলার একটি নার্সারি থেকে। প্রতি ৬ ফুট দূরত্বে মোট ৪০০টি কলা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। প্রতিটি গাছে ধরেছে কলা। ফলনও ভালো হয়েছে । আমাদের এলাকায় জি-৯ জাতের উচ্চফলনশীল জাতের কলা চাষ অনেকটাই নতুন। এ কলা চাষ খুব লাভজনক। চারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে জমি প্রস্তত ও লাগানোসহ এ পর্যন্ত কলা চাষে আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় এ লাখ টাকা। কলার ভালো ফলন ও পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। একটি কাধিতে অন্তত ২৬০ থেকে প্রায় ৩০০টি কলা ধরেছে। ৪০০টি কলা গাছ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি আরো জানান, জি-৯ জাতের কলা বছরের যেকোন সময় চাষ করা যায়। এ কলার চারা মাটিতে লাগানোর ৭ থেকে ৮ মাস পর ফলন তোলার উপযোগী হয়। প্রতিটি গাছের গোড়ায় ৬ থেকে ১০টি করে চারা রয়েছে। যা বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি অর্থের যোগান আসবে। এ জাতের কলা দেখতে সাগর কলার মতই। তার দেখাদেখি একালার অনেক কৃষকই টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে কলা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ কলা চাষের জন্য সদর উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে আমাকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া দিচ্ছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, জি-৯ জাতের কলার জাতটি উচ্চ ফলনশীল কলার জাত। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে এ কলার চাষ মাগুরাতে এ প্রথম। এ জাতের কলায় রোগ বালাই তেমন হয় না। খেতেও সুস্বাদু। সাধারণ জাতের কলা গাছে যে পরিমান কলা ধরে সে তুলনায় এ গাছে অনেক বেশি কলা ধরে। এটি চাষ ও বিক্রির মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। মাগুরা জেলায় এ কলা চাষ বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষক পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com