এবার আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক সুতা উদ্ভাবন হয়েছে। আর এই সুতা থেকে সিল্কের কাপড় তৈরী করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জ জেলারি আলাপ এনজি ও’র পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যোক্তা মাছুদা ইসলাম দীর্ঘদিন নিরলস গবেষণা ও পরিশ্রম করে এই সিল্ক সুতা উদ্ভাবন করেন। আর এর নাম দেওয়া হয়েছে পাইনাপেল সিল্ক (চরহবধঢ়ঢ়ষব ঝরষশ)। গতকাল মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের বেউথা এলাকায় পাইনাপেল সিল্ক উদ্ভাবনী পরিদর্শন ও এর উদ্বোধন করেন সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় মিশন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ গোলাম রহমার, ঢাকা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোজাম্মেল হক, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ রমজান আলী, মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শুক্লা সরকার এবং মানিকগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক (অঃ দাঃ) মোঃ আব্দুল বাতেন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা আনারস খেয়ে তার ছাল এবং পাতা ফেলে দেই। সেই ফেলনা জিনিস হতে সুতা তৈরী করে তা থেকে কাপড় বানানোর উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার রাখে। মধুপুর, টাঙ্গাইল-এর জলছত্র এলাকা আনারসের জন্য বিখ্যাত। এই আনারসের ফাইবার নিয়ে কাজ করছেন মাসুদা ইসলাম। আনারস ফলের পরিত্যাক্ত পাতা যা মনুষ ফেলে দিত, তা আজ অনেক মূল্যবান বস্তু হিসাবে কাজে লাগাতে পারছে। মাছুদা ইসলাম দীর্ঘ ১২ বছর এই আনারসের পাতা নিয়ে কাজ করছেন। ফলে আজ আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈয়ারী এক যগান্তকারী মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই কাপড় শাড়ী, শার্ট, পান্জাবী, ফতুয়া, শাল ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হবে। এই পাইনাপেল সিল্ক (চরহবধঢ়ঢ়ষব ঝরষশ) থেকে উৎপাদিত দ্রব্যাদি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। আর এর উদ্ভাবক উদ্যোক্তা মাসুদা ইসলাম বলেন, বানিজ্যিকভাবে এ কাজ শুরু হলে মানিকগঞ্জ জেলার অসংখ্য বেকার তাঁতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, আবার ফিরে আসবে তাঁতের ঠুকঠাক আওয়াজ, কর্ম চঞ্চলতা।