বাগেরহাটের চিতলমারীতে মৎস্য ঘেরে মাচা বেঁধে বর্ষাকালিন ঝুলন্ত তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। উন্নতজাতের ব্লাক জয়ান্ট,আনার কলি, ব্লাক চ্যাম্প ও ছক্কা জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেক চাষি। ঘেরে মাছ আর পাড়ে তরমুজ বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এই ফলের আবাদ। মাছ চাষের পাশাপাশি বর্ষাকালিন তরমুজ চাষে বেশি লাভ এমনটি জানিয়েছেন উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পরিমল গাইন। পরিমল জানান, ৪ বছর ধরে তিনি চার বিঘা জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে মাচা বেঁধে ঝুলন্ত প্রক্রিয়ায় তরমুজ চাষ করে আসছেন। প্রতিটা তরমুজ গড়ে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন হয়েছে। যার প্রতি কেজির বাজার মুল্য নুন্যতম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এতে তিনি এখন আর্থিক ভাবে অনেকটা স¦াবলম্বী বলে জানিয়েছেন। পাশ^বর্ত্তী রমেন বিশ^াস ৬বিঘা, রাম রায় ৪বিঘা, কালা মন্ডল ১০বিঘা, সামাদ শেখ ৮ বিঘা সহ লক্ষনার বিলে ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এনছেন তারা। এব্যপারে চাষি মাহাবুর কাজী, মোঃ শাহারাব হোসেন ও কালা মন্ডলের সাথে কথা হলে তারা জানান, মাছ চাষের পাশাপাশি বর্ষাকালিন তরমুজ চাষে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান উপজেলায় ৫২ বিঘা জমির ঘের পাড়ে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।অগামীতে আরো বাড়বে। এর মধ্যে কৃষি বিভাগের ৯টি প্রদর্শনী ক্ষেত রয়েছে। চাষিদের কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।