হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সদস্যদের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর নাজিরপুল এলাকায় জাতীর জনকের বাড়ি সহ শোক তোড়ন,ব্যানার ফেস্টুন,শোক পতাকা সহ ১৫ই আগস্টের কালো রাতে নির্মমভাবে একদল ঘাতক সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হওয়া শহীদদের সংবলিত ছবি সাটানো সহ বিভিন্ন বানি নগরবাশির মাঝে তুলে ধরেন বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিসিসি কাউন্সিলর ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক ২ বারের সফল সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের উদ্যোগে কালো ও লাল রক্ত রংয়ে নানান শৈল্পিক কারুকাজে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটি সহ ১৫ই আগস্টের কালো রাতে নির্মমভাবে হত্যার পরে নিজ বাড়িতে পড়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর লাশের প্রতিকৃর্তি অবয়ব ফুঁটিয়ে তোলা হয়। জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে বরিশাল নগরী সহ বরিশাল জেলার বিভিন্নস্থানে শোভা পাচ্ছে হাজার হাজার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড সহ বিশালাকৃতির শোকের তোড়ন। এরমধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রবেশ ফটকে লাল কালো রঙের ব্যবহারে টানানো হয়েছে শহীদদের চিত্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশালাকৃতির ছবির পাশে রয়েছে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দাদা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছবি। এরপর একে একে সকল শহীদদের মুখায়ব। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিন্মœ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠন এবং প্রতিটি সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পোষ্টার,ব্যানার,ফেষ্টুন,বিলবোর্ড ও শোক তোড়ন নির্মান করা করেছে। বরিশাল জেলা পরিষদের প্রবেশ পথে নির্মান করা হয়েছে শোকের তোরন। প্রতিটি তোরনে রয়েছে সকল শহীদদের মুখায়ব। অন্যদিকে জেলার গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্টিয় পদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈকতগুহ পিকলুর উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সহ উক্ত এলাকায় তোড়ন,শোক ব্যানার, ফেস্টুন ও শোক পতাকা দিয়ে মুড়ে রেখেছে। এছাড়া শোকের মাস আগস্টের শুরুতেই বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের জেলার প্রতিটি এলাকায় দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্যোগে নির্মান করা হয়েছে বিশালাকৃতির তোড়ন। সব মিলিয়ে বরিশাল এখন শোকের নগরী ও জেলায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে অসংখ্য তোরন নির্মান করা হয়েছে। কালো রঙের এসব তোরন, ব্যানার ও ফেস্টুনে রক্তের লাল রঙ দিয়ে নানা আবেগী লেখা দিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড,একে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন ও বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নগরীসহ গোটা জেলাজুড়ে টানানো ১৫ আগস্টের ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন ও নির্মিত তোরনের মাধ্যমে বর্তমান নতুন প্রজন্মের কাছে নৃশংস ও ভয়ঙ্কর দিনটির কথা তুলে ধরে সামনে নিয়ে আসা সহ ও তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে।