দুই গ্রামের সেতু বন্ধন নড়াইলের কলাবাড়িয়া-পদুমা রাস্তাটিতে প্রতিদিন চলাচল করেন শতশত মানুষ যানবাহন। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ও একাধিক জামে মসজিদসহ বহু মানুষের বসবাস। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ব্যবহার কারি কলাবাড়িয়া ও পদুমা গ্রামের মানুষের দূর্ভোগের অন্ত থাকছে না। এক হাটু কাঁদা মাড়িয়ে তাদেরকে চলাচল করাসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়া করতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। বুষ্টি হলেই প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে তৈরী হয় কাঁদার রাজত্ব। যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেটে মানুষের চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কলাবাড়িয়া গ্রামের একজন ব্যবসায়ী হাসিব মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাস্তাটিতে প্রতিবছর বর্ষাকালে মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারনে করে থাকে। দুটি গ্রামের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। কিন্তু মানুষের এই কষ্ট দূর করতে কেউ এগিয়ে আসছে না। তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পদুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসলাম হোসেন বলেছেন, স্কুলে যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা খুবই করুন। শিক্ষার্থীরাসহ সাধারন মানুষের চলাচলে দূর্ভোগের সীমা নেই। একহাটু কাঁদপানি ভেঙে স্কুলে যেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাঁদার দাপটে স্কুলে শিক্ষার্থীর হাজিরাও কমে যায়। এটাই প্রতি বছরের চিত্র বলে তিনি দাবি করেছেন। কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রেজাউল করিম বলেছেন, রাস্তাটির বিষয়ে তারা জেনেছেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য কিছু বালু দেয়া হলেও বর্ষায় এবং যানবাহন ও জনচলাচলের কারনে তা কাজে আসেনি। জনদূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কালিয়ার উপজেলা প্রকৌশলী প্রনবকান্তি বল বলেছেন, এই রাস্তার বিষয়টি তিনি জানেন না। সরেজমিনে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।