চারদিন ধরে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের ঘনিচা গ্রামের নেকবর আলী বসত বাড়ীতে নলকূপ পাইপ দিয়ে নির্গত হচ্ছে গ্যাস । আর এখন এ গ্যাস দিয়ে ঘরের রান্নার কাজ চালাচ্ছেন গৃহিণী সাবিকুন নাহার। স্থানীয় বাসিন্দা ও নেকবর আলীর পরিবারের লোকজন সাথে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর আগে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে .২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নেকবর আলী ওই জমিতে ছোট পুকুরসহ বাড়ি ঘর তৈরি করেছেন। এরপর থেকে পরিবার নিয়ে নতুন বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। প্রায় দুই বছর আগে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে সল্প খরচের মধ্যে অগভীর নলকূপ ৩০ ফুট নিচে (আয়রন যুক্ত) পানির লেয়ার পাওয়ায় একটি নলকূপ বসানো হয়। এর দুইমাস পর নিচ থেকে ওই নলকূপে আর পানি ওঠে না।একেবারে ওই নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৩ মাস পর চলতি বছর প্রায় (সাত মাস আগে) বাড়ীর পূর্ব উত্তরপাশে সল্প খরচের মধ্যে একটি অগভীর নলকূপ (৩০ ফুট) আবার বসানো হয়। এ নলকূপের পানি দিয়ে রান্নাবান্না কাজে ব্যবহারসহ এ পানি পান করছিল তারা। সম্প্রতি নলকূপের পানি না ওঠায় মেরামতের চেষ্টা করা হয় । ৫ দিন আগে মেরামতের জন্য নলকূপের ওপরে মাথা খুলে মেরামত করতে গেলে শোঁ শোঁ শব্দ শুনতে পান তারা। পরে আগুন জ্বালিয়ে তা পরীক্ষা করেন পরিবারের লোকজন। এরপর নলকূপ মেরমাতের কাজ বন্ধ করে দেন। এখন সেই নলকূপে নির্গত গ্যাসে রান্নার কাজ চলছে। এছাড়াও বাড়ীর দক্ষিণ পাশে জমিতে দুই বছর আগের স্থাপন করা নলকূপ জায়গায় দিয়ে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে । নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওইস্থানে একটি চিকুন পাইপ দিয়ে মাটি দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন। পরে ওই পাইপের সামনে দিয়াশলাই জ্বালাতেই জ্বলে উঠে আগুন। এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা প্রতিদিন নলকূপটি দেখতে আসছেন। আর বাড়ীর চারিদিকে পানিতে বুদবুদ শব্দ হয়। নেকবর আলীর বড় ছেলে সাইকুল ইসলাম জানান, কৌতুহল বশত সেখানে দিয়াশলাইে ঘষায় আগুন উর্ধ্বমুখী হয়ে জ্বলতে থাকে। গ্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওখানে রান্না করার জন্য ব্যবস্থা করে দেই । আজ চারদিন ধরে সর্তকতা অবলম্বন করে এখন সেই গ্যাসে রান্নার কাজ করছে আমার স্ত্রী সাবিকুন নাহার। সরেজমিনে গেলে নেকবর আলীর বাড়ীর চারিদিকের জমির পানিতে গ্যাস বের হওয়ার বুদবুদ শব্দ শুনা ও দেখা যায়। এমন খবর পেয়ে নলকূপটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হতে থাকে উৎসুক জনতা। বাড়ির লোকজন এখন এই গ্যাসের মাধ্যমেই রান্না করছে। তবে এ নিয়ে এলাকার লোকজন ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন। রাষ্ট্রীভাবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।