কুমিল্লার তিতাসের যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মোল্লা হত্যাকা-ে জড়িত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে শীঘ্রই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী এসহাক মোল্লা জুয়েল। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের নিহতের বাসভবন মানিককান্দিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাদী এসহাক মোল্লা জুয়েল লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুই তিনদিন যাবৎ হাটে বাজারে বিভিন্ন স্থানে লোক মুখে শুনা যাচ্ছে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদসহ ২১জন আসামীর নাম চার্টশীট থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং এসব আসামীরা তাদের নিজস্ব ফেইজবুক আইডিতে আলহামদুলিল্লাহ্ লিখে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট দিচ্ছেন। এতে এলাকার লোকজন আমাদের প্রতিনিয়ত ফোন দিয়ে এর সত্যতা জানতে চাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, গোপনীয়তার সাথে তদন্ত হওয়ার পরেও যেখানে আমরা বাদী হয়ে জানি না কাদের নাম চার্টশীট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, তাহলে খুনিরা কিভাবে জানলো খুনিদের নাম চার্টশীট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে? তিনি আরো বলেন, হত্যা মামলার অনেক আসামী পুলিশ বাদী মামলার আসামী। এ মামলা প্রমাণ করে তারা প্রত্যক্ষ জড়িত। যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার পর থেকেই খুনিদের মুখের কথা পরোক্ষভাবে শুনেছি, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চার্টশীট থেকে তাদের নাম কাটিয়ে নিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করতেছে। আমারা বিষয়টি কুমিল্লার এসপি মহোদয়কে অবগত করেছি। যুবলীগ নেতা জহির ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের স্পষ্ট তথ্য আমরা দিয়েছি। তিনি জহির হত্যাকা-ে জড়িত প্রকৃত আসামীদের বাদ না দিয়ে তাদের আইন আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা পূর্বক এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান। এসময় নিহত জহিরুল ইসলাম মোল্লার পিতা ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লাসহ আব্দুর রব মেম্বার, আবু তাহের সরকার, আক্তার আমিন ভূঁইয়া, আঃ মতিন ভূঁইয়া, মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, আবুল কাশেম সরকার, জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবু মুছা জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।