রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

বিএনপির আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে দিশেহারা আ’লীগ : রিজভী

ইকবাল হোসেন:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

বিএনপির আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহবায়ক ও এ্যাব‘র সাবেক সভাপতি আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ও বরেণ্য সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে ‘মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, এ্যাব নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো: মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, গোলাম মাওলা, সুমায়েল মল্লিক, মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মোতাহার হোসেন। এছাড়াও প্রকৌশলী আফজাল হোসেন সবুজ, সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, বিএনপি নেতা টিপু আব্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, কুষ্টিয়ায় আদালতে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজকে যে অভিযোগে আমেরিকার আদালত মামলা বাতিল করে দেয় সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজের কারণে বিচার করা হয়। এটাতো আওয়ামী লীগের আদালত। সেই আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে মাহমুদুর রহমানকে ও শফিক রেহমানকে। সাজা দেয়া হয়েছে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী। রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ধারা ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। এজন্য আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল‘। ওই সময় সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ বললেন, ‘হাওয়া ভবনের কারণে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে‘! পরে সেটার দাঁতভাঙ্গা জবাব কলমের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি লিখলেন- ‘গোটা ৫ বছরে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা‘। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে কিভাবে? আসলে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের অংশ হলো ওয়ান ইলেভেন। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক। তিনি কোনো দলের নেতা নন। তার ওপর ভয়ঙ্কর অন্যায়, অবিচার ও নির্যাতন করা হয়েছে। বহুদিন কারাবরণ করেছেন। তারপরও সম্প্রতি সাত বছর সাজা দিয়েছে। তিনি একজন বিচক্ষণ ও সাহসী মানুষ। জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে তিনি আপস করতেন না। তিনি ছিলেন আপসহীন দেশপ্রেমিক ব্যক্তি। স্বাধীন চেতা মাহমুদুর রহমান বলতেন এবং লিখতেন। তার সত্য উচ্চারণ আকাশে-বাতাসে ভাসে। সেজন্যই তিনি অবৈধ সরকারের টার্গেটের শিকার হয়েছেন। তার শরীরে বহুবার নির্যাতন করেছে, কিন্তু তিনি থেমে যাননি। চাইলেই চাকরি করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি দেশের জন্য যে ত্যাগ করেছেন সেটা অতুলনীয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com