বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং দরিদ্র কৃষকদের ভোগদখলকৃত কৃষিজমি ও বসতবাড়িতে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে গ্রামবাসী। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর বেরিগাঁও গ্রামে সম্পত্তির মালিক সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সাইনবোর্ড টাঙানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শমশেরনগর-চাতলাপুর স্থল শুল্কবন্দর সড়কের বেরিরগাঁও এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ যাবত আমাদের পূর্বসূরীগন সঞ্জরপুর মৌজায় বসবাস করে গেছেন। বর্তমানে আমরা তাদের উত্তরসূরী হিসেবে বসবাস ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সম্প্রতি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই জমিতে সরকারি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। এতে আমরা জমি হারানোর ভয়ে গরিব কৃষকরা উদ্বিগ্ন ও হতাশ। এই জমি হারালে তাদের না খেয়ে মরতে হবে বলে তারা দাবি জানান। গরিব কৃষকদের ভোগদখলকৃত ভূমিতে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার জন্য স্থানীয় শরীফপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুন্দর আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাইফুর রহমানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলী, তফাজ্জুল হক চিনু, মুক্তিযোদ্ধা সবুর মিয়া, ইসমাইল আলী, আক্কাস মিয়া, সজ্জাদ আলী, আসকির আলী, কৃষক মুমিন আলী, সমাজকর্মী জামাল উদ্দীন, সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া, জাফর আলী, মাওলানা আব্দুল জব্বার, নজরুল ইসলাম, ফিরুজ আলী, সায়েদ আলী, জুনেদ মিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা। তারা বলেন, আমরা খুবই গরিব ও অসহায় লোক। সরকারি খাসজমি ব্যতিত আমাদের অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমি আমাদের নামে লিজ প্রদান করা হোক। ২০১৯ সালেও এখানে তৎকালীন ইউএনও সাহেব আসার পর ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের ফলে আবাসন নির্মাণ বাতিল করে অন্যত্র আবাসন নির্মাণ করেন। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান বলেন, খাসজমির অংশ হিসাবে উদ্ধারকল্পে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখা যাবে না।