অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দেশের মাটিতে খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে বড় একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সরাসরি বলেছেন, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবেন না তারা। বিসিবি সভাপতির এই মন্তব্যের পর পুরো বিষয়টা চলে যায় সরকারের ওপর। তারা যদি সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে, তাহলে হয়তো অক্টোবরে দেশের মাটিতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে বিদায় নিতে পারতেন সাকিব। এরপর সরকারের অবস্থান কী সাকিবের বিষয়ে, তা জানার অপেক্ষায় ছিল সবাই। শেষ পর্যন্ত সরকারের মনোভাবও জানা গেলো আজ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সংসদ সদস্য সাকিবের নিরাপত্তা চাওয়া অবান্তর।’
সাকিবের বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী? জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা একটু কৌশলী উত্তর দেন। তিনি জানিয়ে দেন, খেলোয়াড় সাকিবকে নিয়ে কারও কোনো সমস্যা নেই। খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তারও সমস্যা নেই। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের নিরাপত্তার বিষয়টা নিয়ে সমস্যা আছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’ অর্থাৎ বিসিবির মতো সরকারও প্রকারান্তরে সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা দিতে না পারার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
গত রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে গ্রামীণফোনের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাকিব আল হাসান সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গতঃ কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলেই টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চান। সে লক্ষ্যে বিসিবির কাছে অনুরোধ জানান, যেন তার বিদায়ের আয়োজন সুন্দরভাবে করার জন্য।