বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমানিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। তারা মনে করত, তাদের রাজনীতি বাইরে গেলেই সবাই অপরাধী।’ গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ টি এম খালেদের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফার্মগেট কৃষি ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ এ আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বড় হয়েছে, লেখাপড়া করেছে। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরেও তার জেনেটিকাল যে লাইন, সেই লাইন সে ক্রস করতে পারেনি। আর করতে পারেনি বলেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো, দুর্নীতির প্রমাণগুলো এখন বেরিয়ে আসছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে।’ এ সময় ভারত কী কারণে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দু’টি পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে। তারপরও ভারত তাকে রাখে কিভাবে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ ছাত্র-জনতা হত্যাকারী তাকে ভারত রাখে কিভাবে?’
তিনি বলেন, ‘তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করত, উন্নয়নের মধ্য দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কি তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন। লুটপাট করেছেন।’ রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে-ভাগ্নেদের কন্ট্রোল করতে পারেনি।’ এ টি এম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেল তাদের বিচার এখনো হয়নি কেন? এর দায় আপনাদের কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা তার হত্যার বিচার হলো না এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।’ কৃষিবিদ ডক্টর রাশেদুল হাসান হারুনের ও ডক্টর জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব প্রমুখ