শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

খুলনার বাজারে কমেছে সবজির দাম

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫

খুলনার বাজারে গত সপ্তাহে শীতকালীন সবজির দাম আরও কমেছে। মাছ-মাংস ও ডিমের দাম স্থিতিশীল। তবে মুদিপণ্যের সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধির শঙ্কায় রয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) খুলনার গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, দৌলতপুর বাজার, ময়লাপোতা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়, মুলা ২০ টাকা, বেগুন আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকা, শিম প্রকারভেদে ২৫-৪০ টাকায়, লালশাক, পালং ও কলমি শাক ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। টমেটোর দাম এক ধাপ কমে ৩০-৪০ টাকা ও গাজর ৫০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আলুর দাম কমে আকারভেদে ২৫-৩০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, দেশি রসুন ২২০ টাকা ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, প্রকারভেদে আদা পাওয়া যাচ্ছে ১০০-১৫০ টাকায়।
বাজারে আটা-ময়দা, সুজি, তেলসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত পণ্যের সরবরাহ নাই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্যের চাহিদা দিলেও কোম্পানির প্রতিনিধিরা পণ্য দিতে পারছেন না। এক সপ্তাহ আগে বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন ৮৫০ এবং এক লিটার ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
বাজারে টেংরা ৫০০-৬০০ টাকা, পাইসা৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা কেজি, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪৫০-৬৫০, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা, মাঝারি রুই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮২-৮৬ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫-৬০ টাকা, পুরাতন আটাশ ৬২-৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৫০ টাকা ও খোলা চাল ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম শেখ বলেন, এ সপ্তাহে শাকসবজির দাম অনেক কমেছে। সব সবজিতে ৫-১০ টাকা করে কমেছে। টমেটোর দাম কমে ৩৫-৪০ টাকায় নেমেছে দাম। ৫-১০ টাকা প্রতিদিন বাজারে উঠা-নাম করে।
দৌলতপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, সব জায়গাতেই চালের দাম বেড়েছে। মিলমালিকরা দাম বাড়ালে আমরা কী করতে পারি? মিনিকেট চাল বস্তাপ্রতি বিক্রয় করলে ১০০-১৫০ টাকা লাভ করা কষ্ট হয়ে যায়। রুপসা বাজারের মাছ বিক্রেতা গাউস বলেন, দেশি মাছের দাম কমে না। সব মাছের দামই এখন বেশি। মাছের ফিডের দাম বাড়ছে বলে ঘেরের মাছেরও দাম বেশি। ফিডের দাম কমলে মাছের দামও কমে যাবে।
গল্লামারি বাজারে আসা আবেদুল ইসলাম বলেন, শাক-সবজি, আলু পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমেছে। চালের দাম তো বেড়েছে। এখন পর্যন্ত দাম কমার লক্ষণ নেই। সন্ধ্যা বাজারে মাছের দাম একটু বেশি থাকে।
নিউ মার্কেট বাজারে আসা বৈশাখী ম-ল বলেন, বোতলজাত তেল নেই কোনো দোকানে। পরে একটি সুপারশপ থেকে নিয়েছি। চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
মুদি দোকানদার মেহেদী হাসান ওমর বলেন, গত সপ্তাহের পর থেকে অর্ডার করলেও চাহিদা মতো পণ্য দিতে পারছে না বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় কর্মীরা। ভ্যাট বাড়ানোর কারণে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্যাকেটজাত পণ্যের চাহিদা বেশি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com