টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের নি¤œ আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পরে। এরফলে খাদ্য সংকটে পরে যায় অনেক পরিবার। তাদের অধিকাংশই দিনমজুর। ইতোমধ্যে উপজেলার ২ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এসব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন। ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন। পরিদর্শন করছেন বন্যা কবলিত এলাকা। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ তহবিল থেকে দিনব্যাপি উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রুলীপাড়া, মেঘারপটল ও অর্জুনা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল, রামাইল, রেহাইগাবসারাসহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রায় এক হাজার দুঃস্থ ও ভাঙন কবিলত পরিবারের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী চাল পেয়ে মেঘার পটল গ্রামের লাইলি বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বাড়িতে উঠেছে।
যাওয়ার কোন জায়গা নেই। পানিবন্দি অবস্থায় ঘরে খাবার ফুরিয়ে এসেছে। এমন অবস্থায় ইউএনও স্যার আমাদের চাল দিয়েছেন। বন্যা মৌসুমে চাল পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। বাসুদেবকোল গ্রামের ফজল মিয়া,শিউলি বেগম ও কামাল হোসেন বলেন, দু’দিন যাবত বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কাজেও নিচ্ছে না কেউ। হাতে পয়সাও নেই। চাল ডাল ফুরিয়ে গেছে।চাল উপহার পেয়ে সপ্তাহ চলে যাবে। ইউএনও স্যারে আরও দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা, অর্জুন ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান খান মাহবুব, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ, সদস্য তৌফিকুর রহমান প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বন্যা মৌসুমে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল চরাঞ্চলের অনেক পরিবার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে থাকে। তাদের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় দুঃস্থদের মাঝে প্রায় ১ হাজার পরিবারের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে। খাদ্য প্রদানসহ অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।