জামালপুরের মেলান্দহে স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ৫০তম গ্রীষ্মকালিন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হট্রগোলে ৬ ছাত্র আহত ঘটনায় মানবন্ধন-সড়ক অবরোধ করেছে মালঞ্চ এমএ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র আহত ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে টানা এক ঘন্টা জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে বেরিকেট সৃষ্টি করে। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। মানবন্ধন এবং সড়ক অবরোধকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে জবাব চাই, বিচার চাই, করতে শ্লোগান দেয়। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা, শিক্ষা অফিসার মাজেদুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা প্রশাসন এবং মালঞ্চ স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়। জানা গেছে, ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাধুপুর হুমায়ুন কবির টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং মালঞ্চ এমএ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝে প্রথম রাউন্ডের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফার ট্রাইব্রেকারেও কোন পক্ষ হারেনি। দ্বিতীয় দফায় সাধুপুরের অনুকুলে প্রথম ট্রাইব্রেকারেই মালঞ্চ ১ গোলে পিছিয়ে পড়লেই হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। মালঞ্চ এমএ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন মোল্লা জানান-খেলায় আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করেছে। এরা হলো নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রমজান আলী(১৬), জাকিরুল ইসলাম(১৫) রোকন মাহমুদ(১৫), নাজমুল হাসান(১৫), দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির মোল্লা(১৬) এবং ফিজিক্যাল শিক্ষক ফরহাদ হোসেন(৫০)। আহতরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। রমজান আলী জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মালঞ্চ স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি মঞ্জুরুল ইসলাম জানান-খেলার শেষদিকে সাধুপুরের পক্ষে ট্রাইব্রেকারের সময় মালঞ্চ দলের গোল বারের সাথে ধাক্কায় গোল হবার ঘোষণা দেন রেফারি ইব্রাহিম খলিল। খেলার অপর দুই সহকারি রেফারির একজন এই গোলের পক্ষে অপরজন বিপক্ষে চলে যায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে খেলার পক্ষ-বিপক্ষ এবং দর্শকদের মাঝে ত্রি-মুখি সংঘর্ষের রূপ নেয়। সাধুুপুর হুমায়ুন কবির টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান-আমাদের খেলোয়াড়রা বয়সের তুলনায় খেলছে ভালো। দর্শকেরও মনজয় করেছিল। আমাদের সাথে কারোর কোন গন্ডগোল হয়নি। কেন এমনটা ঘটলো ভেবে পাচ্ছি না। খেলার রেফারি ইব্রাহিম খলিল জানান-ট্রাইব্রেকারের বিষয়ে সহকারি রেফারির কোন ভূমিকা থাকে না। ওরা যেটা করছে এটার জন্য ফলাফল ঘোষণা দিতে পারিনি। তখনি হট্রগোল শুরু হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাজেদুর রহমান জানান-উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা জানান-আপাতত: ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা স্থগিত রাখা হয়েছে।