মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

দ্রুত গতিতে চলছে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ-আগামী জুনে শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

মোস্তাফিজুর রহমান সুজন পটুয়াখালী
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালী’র কলাপাড়ায় পায়রার পাশে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজ। আগামী বছরের জুনে এ কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হলে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ আগষ্ট চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (আরএনপিএল) যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজ শুরু করে। কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৫০০ একর জমির উপরে এর নির্মান কাজ শুরু করা হয়। এ কেন্দ্রটির নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জুনে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত এ সময়ে নির্মান কাজ শেষ করতে বর্তমানে দিন-রাত চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। কয়েক শিফটে প্রায় ৭ হাজার বাঙালী এবং চীনা শ্রমিক কাজ করছেন। পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যেই টারবাইনের ১০০ভাগ এবং চুল্লির ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বয়লারের স্টিল স্ট্রাকচারের কাজও শেষ। এছাড়াও কনষ্ট্রাকশনের কাজও চলছে খুব দ্রুত গতিতে। মোটকথা ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৭৫ ভাগ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। ২২০ মিটার উচু চিমনি দিয়ে কয়েক ধাপে ফিল্টারিং হয়ে বের হবে ধোয়া। তাই বাতাসের সাথে মিশে পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হওয়ার কোন শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি । ১১৪, পটুয়াখালী-৪, (কলাপাড়া-মহিপুর-রাঙ্গাবালী) সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, দ্রত গতিতে পায়রার পাশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মান হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক শুকরিয়া ও ধন্যবাদ জানান। এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হলে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com