কুড়িগ্রামের উলিপুরে আমন ধানের চারা হাট-বাজারে বেচা-কেনা জমে উঠেছে। বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি হচ্ছে হাট-বাজার গুলোতো। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে দেখা যায়, ভোর থেকেই বসছে আমন চারার হাট। চড়া দামে চারা ক্রয় করে জমিতে লাগাচ্ছেন চাষী’রা। জানা গেছে, ৪র্থ ধাপে বন্যায় প্লাবিত হয় নদীর তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল। পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে আমন ক্ষেত। যে সময় চাষী’রা মাঠে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে অসময়ে বন্যার ফলে জমিতে নতুন করে চারা লাগাতে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, অসময়ে বন্যার ফলে নিচু জমি তলিয়ে অনেকের আমন আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এবছর ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ধানের চারার দামও বেড়ে গেছে। বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের বাবুরচড় গ্রামের কৃষক আবু বক্কর জানান, ৫ বিঘা জমিতে লাগানো আমন ক্ষেত সম্পূর্ণ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পেটে ভাত আর গরুর খাবারের জন্য ২ বিঘা জমি পূনঃরায় রোপন করবো। চারা কিনতে এসেছি, চারার যে দাম। আবাদ করে খরচ উঠবে কি না সন্দেহ। অনন্তপুর বাজারের চারা ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, ১পোন (৮০ আটি) চারা ৩ হাজার ২শ থেকে সারে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন জানান, এ মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৪ হাজার ৫শ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ৮শ হেক্টর। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদী বেষ্টিত ৭টি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়ে ৩ হেক্টর বীজতলা, ১৪ হেক্টর সাক-সবজি, ১ হেক্টর মরিচ, ৫শ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়।