গত জুন ও জুলাইয়ে দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিল বিএনপির তিনটি ছাত্র ও যুবসংগঠন- জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এবার ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রংপুর থেকে এই রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু করবে সেই তিন সংগঠন। রোডমার্চ করবে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনায় ও চট্টগ্রামে। যা শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে কর্মসূচির মাধ্যমে।বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর শহর থেকে যে রোডমার্চ শুরু হবে, সেটি সৈয়দপুর দিয়ে দশমাইল হয়ে দিনাজপুরে গিয়ে শেষ হবে। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে রোডমার্চ শুরু হয়ে সেটি সান্তাহার, নওগাঁ হয়ে রাজশাহী নগরে গিয়ে শেষ হবে। এরপর তিন দিন বিরতি দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর আবার সিলেটে রোডমার্চ। ভৈরব বাজার থেকে এই রোডমার্চ শুরু হয়ে সেটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে। আবার ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থেকে রোড মার্চ শুরু হয়ে যশোর, নোয়াপাড়া হয়ে খুলনায় যাবে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রোডমার্চ যাত্রা করবে। এটি কুমিল্লা থেকে শুরু হয়ে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ হবে। এর আগে সারাদেশে পাঁচটি তারুণ্যের সমাবেশ শেষে গত ২২ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ হয়। সেই সমাবেশ থেকে ২৮ আগস্ট ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। চলমান বিএনপির যে আন্দোলন তাতে ভোটাধিকারবি ত তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এর আগে তারুণ্যের সমাবেশ করে দলটির তিন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিএনপির একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনের পূর্বে ভোটাধিকারবি ত তরুণ-যুবকদের উজ্জীবিত করে আন্দোলনের সম্পৃক্ত করতে এই রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
তারুণ্যের রোডমার্চকে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।